SLST Job: ৫ হাজার ৫৭৮ জনকেই চাকরির আশ্বাস, বৈঠক শেষে জানালেন SLST চাকরিপ্রার্থীরা
SLST: চাকরিপ্রার্থীরা জানান, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ৫ হাজার ৫৭৮ জনকেই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, "এই প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে চালানোর সদিচ্ছা আমরা দেখেছি। আমরা জানতে চেয়েছিলাম কতদিনের মধ্যে আমরা নিয়োগ পাব? আগামী ১০ দিনের মধ্যেই কী হল তা জানানো হবে। ২২ তারিখ এখানেই আমাদের বৈঠক হবে।"
কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে এলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। বেরিয়ে এসে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, আশ্বাস পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে। আইনি জট কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ ডিসেম্বর আবারও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। এদিন বিকাশ ভবনে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেন, “জানতে চাইলাম আমাদের নিয়োগ দেওয়ার বাধাটা কোথায়? আজ আলোচনায় দেখলাম বিভিন্ন দফতরের মধ্যে একটা মিসকমিউনিকেশন ছিল। ঠিকভাবে আইনি জটিলতা কাটানোর চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দিতে হবে।”
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ৫ হাজার ৫৭৮ জনকেই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, “এই প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে চালানোর সদিচ্ছা আমরা দেখেছি। আমরা জানতে চেয়েছিলাম কতদিনের মধ্যে আমরা নিয়োগ পাব? আগামী ১০ দিনের মধ্যেই কী হল তা জানানো হবে। ২২ তারিখ এখানেই আমাদের বৈঠক হবে।”
চাকরি প্রার্থীরা জানান, নিয়োগে যা যা জটিলতা আছে, সমস্তটাই কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুল সার্ভিস কমিশন ও শিক্ষা দফতর এই সমস্যার সমাধান করবে। আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা বলছেন, এই জটিলতা কাটলে ভাল কিছুই অপেক্ষা করছে। যাঁরা যোগ্য, চাকরি তাঁরা পাবেই, সেই আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানালেন এদিনের বৈঠক শেষে।
আরও একটি বিষয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরে। নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ ১ বছর থাকে বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এ প্রসঙ্গ উঠতেই চাকরিপ্রার্থীরা মেনে নেন যে কোনও স্বচ্ছ প্যানেলের মেয়াদ ১ বছরই থাকে। তবে একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, যে প্যানেল বিচারাধীন, তা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় না। সে কারণে চলতি মাসেও এই প্যানেল থেকেই চাকরি হয়েছে। তাই এ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। তবে ১ হাজার দিন পার করে যে আন্দোলন, তা চলবেই, জানিয়ে দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কথা হয়েছে আইনি জটিলতা কাটানো নিয়ে। বৈঠকে খুশি জানালেন চাকরিপ্রার্থীরাও। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমরা খুশি বৈঠকে। এই সমন্বয় থাকলে সমস্যা মিটবে। আমরাও দ্রুত নিয়োগ পাব।”
কিন্তু আইনি জটিলতাটা ঠিক কীরকম? চাকরি প্রার্থীরাই বললেন, “সুপ্রিম কোর্টে সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে মামলা চলছে। রাজ্য তা তৈরি করতে পারে কি পারে না এ নিয়েই মামলা। যদিও এটা যে তৈরি করা যায়, হাইকোর্টে শুনেছি বহুবার। তবে সেটা যোগ্য প্রার্থীদের জন্য হতে হবে। সরকার আদালতকে জানাবে নিশ্চয়ই যে তারা শুধু যোগ্য প্রার্থীকেই চাকরিটা দেবে।”