Electrocution Death: এবার ট্যাংরা, ফের শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
Electrocution Death: এই ঘটনায় সরাসরি বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মৃত বান্টি হালদারের স্ত্রী।
কলকাতা : কলকাতায় আবারও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ট্যাংরায়। বান্টি হালদার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বছর ৩৫-এর ওই যুবকের একটি দোকান আছে এলাকায়। সেই দোকানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। তাঁর মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ২ সপ্তাহের মধ্যে হরিদেবপুর ও রাজাবাজারে পরপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল ট্যাংরায়।
মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকালে দোকানের ভিতরে ছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁর দোকান লাগোয়া বিদ্যুতের খুঁটিতে আচমকা আগুন লেগে যায়। এরপর বান্টি দোকান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে আগুন দোকানের ভিতরে প্রবেশ করেছে। বেরতে গিয়েই লাইটপোস্টের গায়েই আটকে যান তিনি। কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। পরে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাঁশ দিয়ে মেরে কোনও ক্রমে ছাড়ান বান্টিকে। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বান্টি হালদারের স্ত্রী সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যুৎ দফতর ও বাজার কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, গত মাস দেড়েক আগে এই পোস্টটি বসানো হয়েছে। বারবার তাঁরা আবেদন করেছিলেন যাতে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়, কিন্তু সে কথা শোনা হয়েছে। যাওয়া সেই পোস্টের গায়ে রয়েছে একটি বক্স। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই বাক্সের গায়ে হাত দেওয়া অবস্থাতেই মৃত্যু হয় যুবকের।
সপ্তাহ খানেক আগে হরিদেবপুরে জমা জল পেরিয়ে যাওয়ার সময় এক নাবালকের মৃত্যু হয়। একইভাবে রাজাবাজার এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজনারায়ণ স্ট্রিটেও এক নাবালকের মৃত্যু হয়। এই ইস্যু নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল পুরসভা থেকে বিদ্যুৎ দফতর। দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। তারপরও এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
তবে পুলিশের দাবি, গ্যাস থেকে আগুন ধরে। সেখান থেকে ভিতরে ইলেকট্রিক লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। দোকানের শাটার বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে। এরপর দোকান থেকে বেরতে গিয়ে শাটারে হাত লেগে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য়, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির পর নানাভাবে সতর্ক করছে কলকাতা পুরনিগম। কাউন্সিলররাও বাতিস্তম্ভগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। সেগুলিতে কোনও জনসাধারণকে হাত দিতে নিষেধ করছে। ফেসবুকে এমন প্রচার শুরু করা হয়েছে।