‘শুভেন্দু এফেক্ট’? বাছাই নেতাদের জেলার দায়িত্ব দিলেন মমতা
মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দুর দল ত্যাগের পর যে ভাঙন অব্যাহত থেকেছে, তা রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: আনুষ্ঠানিক ভাবে না, বকলমে ফের ‘অবজার্ভার’ ফিরিয়ে আনলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একুশের নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল তৃণমূলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। গত জুলাইয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অবজার্ভার পদটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো। মনে করা হয়েছিল, এই সিদ্ধান্তর পিছনে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত রয়েছে। শুভেন্দুর দল ত্যাগের পর ভাঙন অব্যাহত থেকেছে তৃণমূলের। তা রুখতে বাধ্য হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের ‘অবজার্ভার’ পদ ফেরাতে হল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে বাছাই করা কয়েকজন নেতাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। তার সঙ্গে হাওড়া ও হুগলিও রয়েছে। নদিয়া ও জঙ্গলমহলের দায়িত্ব পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে দেওয়া হয়েছে কোচবিহার ও দুই দিনাজপুর। পাশাপাশি, দুই বর্ধমান, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার দেখবেন অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন হাব থেকে সরাসরি টিকা আসবে রাজ্যে! স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি দিল কেন্দ্র
বীরভূমের ক্ষেত্রে কলকাতার কোনও নেতাকে দায়িত্ব দেননি মমতা। ‘কেষ্টর’ উপরই ভরসা রেখেছেন তিনি। বীরভূম দেখবেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে রয়েছেন শুভাশিস চক্রবর্তী। তবে, অনুব্রত ও শুভাশিস ছাড়া বাকিরা সবাই দক্ষিণ কলকাতার নেতা-মন্ত্রী। যা নিয়ে শুভেন্দু একাধিকবার ‘দক্ষিণ কলকাতার ক্যাবিনেট’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। এদিনের সংগঠন বিন্যাসে আবারও সেই তকমাই সিলমোহর পেল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন জেলার অবজার্ভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরই দলের মধ্যের অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়। শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পিছনে এই সিদ্ধান্ত অন্যতম কারণ হিসাবে দেখেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু শুভেন্দুর বিজেপি যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের ভিত নড়তে শুরু করে। তাই ফের বকলমে ‘অবজার্ভার’ রেখে ভাঙন রোখার মরিয়া চেষ্টা শুরু করল তৃণমূল।