Manhole in Kolkata: মৃত্যুর পরেও হেলদোল নেই, আবারও খোলা ম্যানহোল; উদাসীনতার দায় কার? উঠছে প্রশ্ন
Manhole : সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে রাস্তার উপরে ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা অবস্থায় দেখা গেল। কোথাও পথচলতি মানুষকে সতর্ক করার জন্য কোনওরকম বিপদ সংকেত কিংবা গার্ড রেল অথবা অন্য কিছু দিয়ে ম্যানহোলের চারপাশ আটকানো নেই।
কলকাতা: শহর কলকাতার তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের একেবারে প্রাণকেন্দ্র সল্টলেক। আর সেখানেই এবার রাস্তার ওপরেই দেখা গেল চূড়ান্ত গাফিলতি। ফের একবার অরক্ষিত ও খোলা অবস্থাতে পড়ে থাকতে দেখা গেল ম্যানহোল। শহরের অত্যন্ত কর্মব্যস্ত এই তথ্য প্রযুক্তি নগরী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। সেইখানেই দেখা গেল প্রশাসনের উদাসীনতার চিত্র।
সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে রাস্তার উপরে ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা অবস্থায় দেখা গেল। কোথাও পথচলতি মানুষকে সতর্ক করার জন্য কোনওরকম বিপদ সংকেত কিংবা গার্ড রেল অথবা অন্য কিছু দিয়ে ম্যানহোলের চারপাশ আটকানো নেই। কিছুদিন আগেই শহরের রাজপথে ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তি। সেই নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। আবারও সেই দায়সারা মনোভাব এবং উদাসীনতার চিত্র উঠে আসছে বলে অভিযোগ। যদিও এই নিয়ে প্রশাসনের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কলকাতার রাস্তায় কেন ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা পড়ে থাকছে, এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ নাগরিকদের একাংশ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনীতিকরা। গত মাসের ঘটনার পর আবার রাজ্য সরকারকে আজব যুক্তি দিতে দেখা গিয়েছিল। ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “কলকাতায় বেশির ভাগ ম্যানহোলই ঢাকা থাকে। এই যে ম্যানহোলটায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পাশেই কিন্তু ম্যানহোলের মুখটা রাখা। ঢাকনাটা একেবারে তুলে উল্টো করে রাখা। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন কিন্তু নয়।”
তিনি সেই সময় আরও বলেছিলেন, “ওখানে একটা বস্তি রয়েছে। সেখানকার কিছু মানুষ বাচ্চাদের ওখানে বসিয়ে বাথরুম করান। সুবিধার জন্য ওটা তুলে রাখেন। আমি আগে জানলে বস্তিতে একটা বা দু’টো বাথরুমও বানিয়ে দিতে পারতাম। যদি জায়গা থাকত। কিন্তু এটা আমার দুর্ভাগ্য যে নজরে আসেনি। কেউ আমাকে বলেওনি। এটা আমরা ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বলেছি জায়গা চিহ্নিত করতে। যদি ম্যানহোলের ঢাকনা তুলে বাথরুম করতে হয়, এটা অত্যন্ত লজ্জার। বাচ্চাদের নাকি ওই ঢাকনা সরিয়ে কিছুটা দূরে বসিয়ে বাথরুম করানো হয়। আমরা বলেছি, বস্তির ভিতরে জায়গা চিহ্নিত করে দিতে, আমরা কিছু বাথরুম বানিয়ে দিতে চাই। কর্পোরেশন করে দেবে। ওখানকার লোকজন ওই ঢাকটানা তুলে রেখে একটা বিপদ তৈরি করেছিল। অনেকেই হয় বাড়ির সামনে বাচ্চাকে বাথরুম করাবে!”