Shahjahan Sheikh: ধামাখালিতে আলিশান হোটেল তৃণমূলের ‘পার্টি অফিস’, শুক্রবার এখানেই ছিলেন শাহজাহান?
Shahjahan Sheikh: ওই হোটেলে গেলে রিশেপশনে কারও দেখা মিলল না। গেটে ঝুলছে দলীয় পতাকা। একটি গাড়ি রয়েছে। তারমধ্য়েও দলীয় কিছু কার্ড দেখতে পাওয়া গেল। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে চাইছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ধামাখালি: বাড়ি শুধু নয়, ধামাখালির লঞ্চ ঘাটের কাছে থাকা হোটেলেও চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কার্যত পরিত্যক্ত সম্পত্তি! ধামাখালির হোটেল একই সঙ্গে দলীয় কার্যালয়। সূত্রের খবর, নিয়মিত তৃণমূলের বৈঠকের কাজে সেই হোটেল ব্যবহার করতেন শেখ শাহজাহান। স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ সেখানেই ছিলেন তৃণমুলের দাপুটে নেতা। শনিবার সেই হোটেলই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গেটে তালা। কলাপসিবল গেট টানা। সুন্দরবন ঘুরতে এসে ওই হোটেলে কোনও পর্যবেক্ষক থাকতে চাইলে, থাকতে পারবেন না। শনিবার শেখ শাজাহানের সব ঠিকানাতেই কার্যত পলায়নের ছাপ।
ওই হোটেলে গেলে রিশেপশনে কারও দেখা মিলল না। গেটে ঝুলছে দলীয় পতাকা। একটি গাড়ি রয়েছে। তারমধ্য়েও দলীয় কিছু কার্ড দেখতে পাওয়া গেল। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে চাইছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একজন বললেন, ওনার তো সব জায়গাতেই যাতায়াত ছিল, তবে এখানে আসতেন কিনা ঠিক বলতে পারছি না। আর একজন বলছেন, লোকজন তো ওখানে আসে দেখেছি। শুরু থেকেই ওটাকে এরকম দেখছি। পতাকা ঝুলতেও দেখেছি।
যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানে শেখ শাহজাহানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কিন্তু, শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে একটা গোটা হোটেল যেভাবে শুনশান হয়ে গিয়েছে সেটাই সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই ছবিই অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছে বলে মত অনেকের। সূত্রের খবর, শাহজাহানের নামেই সরবেড়িয়ায় রয়েছে একটি আস্ত বাজার। সেই বাজারও এখন খবরের শিরোনামে। সূত্রের খবর, সরবেড়িয়ায় মাছের আড়ত, একাধিক ইট ভাটা, ফিস প্রসেসিং প্ল্যান্টের ‘মালিকও’ এই শাহজাহান।