Attack on ED: ইডির উপর হামলার জের, আজই জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব
Attack on ED: এবার তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল নবান্ন। শনিবার দুপুরেই সব জেলার জেলাশাসককে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব। এদিন দুপুর তিনটের সময় ভার্চুয়ালি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালির ঘটনার ভিত্তিতেই এই জরুরি বৈঠক।
কলকাতা: সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। গুরুতর আহত হয়েছেন ইডির তিন অফিসার। খোয়া গিয়েছে ইডি অফিসারদের মোবাইল, ল্যাপটপ। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ইডি। সরাসরি ইমেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে। এসবের মধ্যেই এবার তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল নবান্ন। শনিবার দুপুরেই সব জেলার জেলাশাসককে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব। এদিন দুপুর তিনটের সময় ভার্চুয়ালি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালির ঘটনার ভিত্তিতেই এই জরুরি বৈঠক।
গতকাল ইডির তদন্তকারী দল সকালবেলা পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে। কিন্তু শাহজাহান শেখের দেখা পাননি ইডির অফিসাররা। এরই মধ্যে একদল উত্তেজিত এলাকাবাসী চড়াও হয়েছিল ইডির উপর। ভাঙচুর করা হয়েছিল ইডির গাড়ি। রক্ত ঝরেছে। মাথা ফেটেছে। তিন জন ইডি অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। কোনওক্রমে অটোয় চেপে সেখান থেকে বেঁচে ফিরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।
এদিকে গত সন্ধেয় ইডির তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, প্রায় ৮০০-১০০০ জন উত্তেজিত জনতা ঘিরে ধরেছিলেন ইডির অফিসারদের। ভাবগতিক দেখে মনে হয়েছিল, যেন প্রাণ নাশের উদ্দেশ্য নিয়েই তেড়ে আসছিল তারা। ঘটনায় ইডির অফিসারদের মোবাইল, ল্যাপটপও খোয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। শুক্রবারের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। এনআইএ তদন্তের দাবি তুলছে বিরোধীরা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে হাসপাতালে গিয়েছিলেন আক্রান্ত ইডি অফিসারদের দেখতে।