GTA : পাহাড়েও শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’! CBI-কে চিঠি পদ্ম বিধায়কের

CBI : বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, "সব নিয়োগে যেমন দুর্নীতি হয়েছে, জিটিএ-র ক্ষেত্রেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সবারই তো নিয়োগ হয় এক জায়গা থেকে। সেই কারণেই তালিকা সিবিআইকে জমা দিয়েছি। তদন্ত হোক এটাই আমাদের দাবি।"

GTA : পাহাড়েও শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'! CBI-কে চিঠি পদ্ম বিধায়কের
এবার পাহাড়ের দুর্নীতির অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 6:36 PM

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ শুধু সমতলেই নয়, এবার সেই অভিযোগ উঠল পাহাড়েও। এবার জিটিএ-তেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। জিটিএ-র আওতায় যে স্কুলগুলি রয়েছে, সেখানে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর কাছে যাবতীয় তথ্য সহ একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের দাবি, অবিলম্বে এর তদন্ত করা হোক। জিটিএতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, “সব নিয়োগে যেমন দুর্নীতি হয়েছে, জিটিএ-র ক্ষেত্রেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সবারই তো নিয়োগ হয় এক জায়গা থেকে। সেই কারণেই তালিকা সিবিআইকে জমা দিয়েছি। তদন্ত হোক এটাই আমাদের দাবি। আমরা আশা আছে, সিবিআই এটা করবে।”

সিবিআইকে তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের কথা। বিধায়কের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই সময়ে, প্রাথমিকে ১২১ জন, উচ্চ প্রাথমিকে ৫৯ জন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৩১৩ জন নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বিধায়কের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে। যাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে, তাদের কেউই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই পদে নিয়োগের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা নিয়োগের মাপকাঠি পূরণ করতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে প্রাইমারিতে ১২১ জনের সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ইস্যু করা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে। এই নিয়ে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা।

উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক ১৬ মে প্রথম চিঠি দেন সিবিআইকে। বিধায়কের বক্তব্য, গোটা রাজ্যেই তো ‘দুর্নীতি’ চলছে। শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সিবিআই তদন্ত করছে। জিটিএ-র ক্ষেত্রেও শিক্ষায় দুর্নীতি হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ বিধায়কের। তবে, বিধায়কের কথায়, যারা বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন, কেবল তাঁদেরই দুশ্চিন্তা হওয়ার কথা। যাঁরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের তো উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।