ঘরে মা-বোনকে আটকে কোপাতে শুরু করল ছেলে, খাস কলকাতায় ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড!
Crime: কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে রিজেন্ট পার্ক পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
কলকাতা: ধারাল অস্ত্র দিয়ে মা ও বোনকে কোপানোর অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় সোমবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক রোহন গোমসকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে আহত মা ও মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও মায়ের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রিজেন্ট পার্ক এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুটিয়ারি বাগান পাড়ার বাসিন্দা রোহন গোমস সোমবার সকালে আচমকাই মা ও বোনের উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন। অভিযোগ, কোপানোর আগে মা-মেয়েকে ঘরের ভিতর আটকে রাখেন তিনি। এদিকে মা-মেয়ের চিৎকার শুনে পাড়ার লোকজন ছুটে আসেন। কিন্তু বহুবার দরজা ধাক্কা দিয়েও কেউ ভিতরে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ।
এর পরই প্রতিবেশীরা রিজেন্ট পার্ক থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে তিনজনকেই ঘর থেকে বের করে। সে সময় ভয়ে কাঁপছিলেন রোহনের বোন ঋতু রোজমেরি গোমস। রক্তে ভেসে যাচ্ছিলেন মা জয়া গোমস। বোনও রক্তাক্ত হন। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঋতু রোজমেরি গোমসকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মাকে হাসপাতালেই রাখা হয়েছে।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে রিজেন্ট পার্ক পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অভিযুক্ত রোহন গোমসের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ বলে সূত্রের দাবি। অভিযুক্ত যুবক কোনও ভাবে মানসিক কোনও সমস্যায় ছিলেন কি না তা যেমন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে বাইরের কোনওরকম চাপ ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মা ও বোনের সঙ্গে রোহন গোমসের সম্পর্ক কেমন ছিল প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করতে পারে পুলিশ। পারিবারিক এমন কোনও সমস্যা ছিল কি না যার কারণে অভিযুক্ত যুবক মানসিক স্থিতি হারিয়ে এমনটা ঘটান তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “আমরা যখন ভিতরে ঢুকি রোহনকে দেখলাম ভয়ে এক কোণায় চলে গেল। তবে আমরা ওর হাতে কোনও অস্ত্র দেখতে পাইনি। পুলিশ তার আগেই যেহেতু ঘরে ঢোকে তারা তা নিয়ে নেয় বলে জানি। ঘরে ঢুকে দেখি ওর মা বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল থেকে নাকি বলা হয়েছে রোহনের মায়ের পিঠে বেশ কয়েকটি কোপ ছিল। সময় মতো হাসপাতালে না নিয়ে যেতে পারলে কী হতো জানি না।” আরও পড়ুন: সিবিআই দফতরে নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা, হাতে ভাইয়ের মোবাইল ফোন! তদন্তকারীদের দেখালেন বিস্ফোরক ভিডিয়ো