সিবিআই দফতরে নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা, হাতে ভাইয়ের মোবাইল ফোন! তদন্তকারীদের দেখালেন বিস্ফোরক ভিডিয়ো

Post Poll Violence: একুশের বিধানসভা ভোটের আবহে একাধিক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় প্রথম নামই কাঁকুরগাছির অভিজিতের।

সিবিআই দফতরে নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা, হাতে ভাইয়ের মোবাইল ফোন! তদন্তকারীদের দেখালেন বিস্ফোরক ভিডিয়ো
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 6:06 PM

কলকাতা: বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই একাধিক বার নিহত অভিজিতের বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তদন্তকারীরা। এবার অভিজিতের দাদাকে ডেকে পাঠানো হল নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, অভিজিৎ সরকারের মোবাইল ফোনে থাকা বেশ কিছু ভিডিয়ো নিয়ে সোমবার নিজাম প্য়ালেসে হাজির হন দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। অভিজিতের দাদার দাবি, তাঁর ভাই সম্ভবত আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, সে খুন হতে পারে। সেই জন্যই নিজের মোবাইল ফোন লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে মনে করছেন বিশ্বজিৎ। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনে অভিজিতের মৃত্য়ুর আগের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিয়ো রয়েছে। সেগুলি তদন্তকারীদের কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্বজিৎ। সেই ভিডিয়ো নিয়েই এদিন সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি।

একুশের বিধানসভা ভোটের আবহে একাধিক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় প্রথম নামই কাঁকুরগাছির অভিজিতের। ভোটের দিন গলায় তার পেঁচানো মৃতদেহ উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের। তাঁর পরিবারের প্রথম থেকেই দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু অভিজিতের মৃত্য়ুর পর প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও এখনও এই ঘটনার তদন্ত বিশেষ আকার পায়নি। এমনকী যে দেহ এখনও অবধি মর্গে রাখা রয়েছে, তা আদৌ অভিজিৎ সরকারের দেহ কি না এ নিয়েও পরিবারের পক্ষ থেকে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট অবধি গড়ায়।

ময়না তদন্ত হয়েছে দু’বার। তার পরও তদন্তের খাতিরে বেশ কিছু তথ্য়ের দরকার রয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হচ্ছে অভিজিতের দাদাকে। সোমবারও ডেকে পাঠানো হয়। অভিজিতের দাদার বক্তব্য, এতদিন পর্যন্ত তার ভাইয়ের যে মোবাইল ফোনটি অধরা ছিল, বাড়ি থেকে হঠাৎ সেটি উদ্ধার হয়েছে। সেই ফোন অন করে ঘেঁটে বাড়ির লোকজন বেশ কিছু সূত্রও পেয়েছেন। বিশ্বজিতের দাদার বক্তব্য, এই মোবাইলে এমন কিছু ভিডিয়ো রয়েছে যা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সিবিআই দফতরের সামনে ভাইয়ের সেই ফোন হাতে ধরে বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, “আজ সিবিআই ডেকেছে। আমার হাতে যে ফোনটা দেখছেন সেটা অভিজিতের সেই ফোন যাতে ও মরার আগে শেষ জবাববন্দি দিয়ে গিয়েছিল। সেদিনের ঘটনা, নারকেল ডাঙা পুলিশের ভূমিকা, সবই ফেসবুক লাইভ করে অভিজিৎ বলেওছিল। এই ফোন থেকেই রেকর্ড হয়েছে বোমা ছোড়া, বোমা পড়ে থাকা, ওকে কে মেরেছে তা শনাক্ত করে ওর দৌড়ানো সব এতেই হয়েছে। এটাই সেই গুরুত্বপূর্ণ ফোন।”

এর আগে গত সপ্তাহে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন থেকে বিশ্বজিৎ সরকার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সেখান থেকে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “অভিজিৎ সরকারের খুনের বিষয়ে আমাকে ডাকা হয়েছিল। খুনের ঘটনায় হাইকোর্টে একটি সাপ্লিমেন্টারি এফিডেভিট ফাইল করেছিলাম। ডিএনএ অ্যানালিসিস, হাইকোর্টের মাধ্যমে অটোপসি, সেই সমস্ত বিষয়েই জানতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। অভিজিৎ সরকারকে খুনের পর এখন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার ও তাঁর মাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।” আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে উপনির্বাচন নিয়ে লাফালাফি, আগে পুরভোট করাতে হবে’, দাবি দিলীপের