Anubrata Mondal: কী দেখে পুলিশ হেফাজত অনুব্রতর? তল খুঁজে পাচ্ছেন না আইনজীবীরাও
Anubrata Mondal: গলা টিপে ধরার ক্ষেত্রে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হতে পারে অর্থাৎ মামলা হতে পারে ৩০৭ ধারায়।
কলকাতা: আদালতের নির্দেশ মেনে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, এমনটাই পরিকল্পনা ছিল ইডি (ED)-র। কিন্তু রাত পোহাতেই আচমকা বদলে গেল ছবিটা। এক বছর আগের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করলেন জনৈক শিবঠাকুর। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই মামলায় পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দিল দুবরাজপুর আদালত। দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আসার পরই এমন ঘটনা নিছকই কাকতালীয়? এতদিন কোথায় ছিলেন শিবঠাকুর? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। কিছুটা অবাকই হচ্ছেন আইনজীবীরা।
শিবঠাকুর তাঁর অভিযোগে বলেছেন এক বছর আগে দলীয় কার্যালয়ে তাঁর গলা টিপে ধরেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এতদিন তিনি নাকি ভয়ে কাউকে জানাতে পারেননি। এখন অনুব্রত জেলে থাকায় তিনি সাহস করে এফআইআর করেছেন।
আইনজীবী রানা মুখোপাধ্যায় জানান, গলা টিপে ধরার ক্ষেত্রে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হতে পারে অর্থাৎ মামলা হতে পারে ৩০৭ ধারায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রমাণ থাকা জরুরি। আইনজীবী জানান, গলা টিপে ধরার ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার ক্ষেত্রে বালিশ বা ওই ধরনের কোনও জিনিসের ব্যবহার হতে পারে, এ ক্ষেত্রে তাও নেই। ঘটনার পর কোনও এফআইআরও হয়নি। আর এক বছরে যে গলায় কোনও দাগ থাকবে না, তা তো স্বাভাবিক। আইনজীবী বলেন, কী দেখে পুলিশ হেফাজত দেওয়া হল জানি না। তবে তাঁর কথায়, অভিযোগ করা তো আর আটকানো যাবে না।
এ ক্ষেত্রে এবার কী করতে পারে ইডি? যে সাতদিন অনুব্রত মণ্ডল পুলিশ হেফাজতে থাকবেন, তার মধ্যে যদি দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ না দিয়ে দেয়, তাহলে ইডি-র দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। পুলিশ হেফাজত শেষ হলে, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে একটি প্রোডাকশন অর্ডার করাতে হবে ইডি-কে। তা দিয়ে দুবরাজপুর জেল থেকে বের করে নিয়ে যেতে হবে অনুব্রতকে। তবে পুলিশ হেফাজত থাকাকালীন এমন কিছু করা যাবে না।
আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘একটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যেটা এক বছর আগের ঘটনা। সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে আমরা বলে থাকি ক্লাউড অব সাসপিশন অর্থাৎ সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে মামলা হয়।’ তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে প্রভাবশালী তত্ত্ব আরও বেশি সামনে আসতে পারে।
এক বছর আগের ঘটনায় পুলিশ হেফাজত ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও। এভাবে রাতারাতি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা ও পুলিশ হেফাজত হওয়ার ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না তাঁরাও।