Anubrata Mondal at SSKM: অনুব্রত উডবার্ন থেকে বেরতেই শোনা গেল, ‘গরু চোর, গরু চোর’

Anubrata Mondal at SSKM: পার্থকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার পর এবার নিশানায় অনুব্রত। ক্ষোভ উগরে দিলেন এক রোগীর আত্মীয়।

Anubrata Mondal at SSKM: অনুব্রত উডবার্ন থেকে বেরতেই শোনা গেল, 'গরু চোর, গরু চোর'
সোমবার এসএসকেএমে অনুব্রত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2022 | 6:54 PM

কলকাতা : নিজামে গেলেন না, এড়িয়ে গেলেন সিবিআই হাজিরা। তবু দিনভর নজর ছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। নিজাম প্যালেসে না গিয়ে সোমবারও তাঁর গাড়ি সোজা চলে যায় এসএসকেএম হাসপাতালের দিকে। কয়েক ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরতেই শোনা গেল চিৎকার ‘গরু চোর, গরু চোর’। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও ক্রমে গাড়িতে তুললেন তৃণমূল নেতাকে। দিন কয়েক আগেই দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন এক মহিলা। আর এবার অনুব্রতকে নিশানা করে এক ব্যক্তি বলে উঠলেন ‘গরু চোর’।

এ ভাবে চিৎকার করে উঠলে কে? ভিড়ের মধ্যে খোঁজ করতেই দেখা মিলল সেই ব্যক্তির। নেতাকে সর্বসমক্ষে ‘গরু চোর’ বলে একটুও অনুতপ্ত নন তিনি। কাকে এমন কথা বললেন তিনি? জিজ্ঞেস করতে অনুব্রতরই নাম বলেন ওই ব্যক্তি। তিনি উল্লেখ করেন, একজন ‘গরু চোর’-এর মতোই শাস্তি হওয়া উচিত অনুব্রত মণ্ডলের। কেমন শাস্তি? ওই ব্যক্তি জানান, গ্রামে কেউ কারও গরু চুরি করলে সবাই মিলে অভিযুক্তকে মারধর করে, মাথা ন্য়াড়া করে দেয়। তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রেও তেমন শাস্তিই দেওয়া উচিত অনুব্রত মণ্ডলকে।

কয়েকদিন আগে শাসক দলের আর এক নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়েছিলেন এক মহিলা। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন পার্থকে যখন ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য় পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন হাসপাতালের সামনে ওই মহিলা পা থেকে জুতো খুলে ছোড়েন। যদিও পার্থর গায়ে লাগেনি সেই জুতো, তবে, ওই মহিলাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি মন্তব্য করেন, ‘জুতো গিয়ে মাথায় লাগলে ভাল হত।’ এবার সে ভাবেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন অনুব্রত।

গরু পাচার মামলায় তলব করা হয়েছে বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে। আগেই ইমেল করে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজিরা দিতে পারবেন না তিনি। সোমবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন সকালে দেখা যায় চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। তবে,  তাঁকে ভর্তি করা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, আগের থেকে ভাল আছেন অনুব্রত। পরে হাসপাতাল থেকে ফ্ল্যাটে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে বেরিয়ে সোজা বোলপুর চলে যান।