Anubrata Mondal: ‘বাড়ি যাচ্ছি’, সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে রওনা অনুব্রতর
Anubrata Mondal: ৪টে বেজে ৪৬ বা ৪৭, গোলাপি পাঞ্জাবি পরা অনুব্রত মণ্ডল বেরিয়ে আসেন ফ্ল্যাটের বাইরে।
কলকাতা: গরু পাচার মামলায় সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। তবে এদিন হাজিরা দেবেন না বলে, সিবিআইকে জানিয়েও দেন তিনি। বদলে সকাল সকাল পৌঁছন এসএসকেএম হাসপাতালে। কার্যত রটেই গিয়েছিল, এবার কিছুদিন এসএসকেএমই ‘আশ্রয়’ হতে চলেছে বীরভূমের ‘কেষ্ট’র। তবে ১২টার কিছু পরেই এল খবর, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই’ অনুব্রতর। চিকিৎসকরাই তা স্পষ্ট জানান। এরপরই নতুন করে শুরু হয় ঢাক ঢাক গুড় গুড়। তবে কি নিজাম প্যালেস যাবেন? সে জল্পনায়ও জল ঢেলে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি মা উড়ালপুল ধরে এসে পৌঁছয় চিনার পার্কে, কলকাতায় অনুব্রতর ঠিকানায়। অনুব্রত মণ্ডল ঢুকে যান ফ্ল্যাটে। ঢোকার আগে, বলে যান, ‘আমি সিবিআই দফতরে যাব কি যাব না সেটা তো জানিয়েই দিয়েছি’।
সাড়ে ৪টের কিছু পরেই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীব কুমার দাঁ এসে পৌঁছন সেই ফ্ল্যাটে। গাড়িও তৈরি করা হয়। ফের নয়া জল্পনা, অনুব্রত কি কোথাও যাচ্ছেন? ৪টে বেজে ৪৬ বা ৪৭, গোলাপি পাঞ্জাবি পরা অনুব্রত মণ্ডল বেরিয়ে আসেন ফ্ল্যাটের বাইরে। উঠে পড়েন নিজের গাড়িতে। সংবাদমাধ্যম জানতে চায়, কোথায় যাচ্ছেন? গাড়ির জানলা থেকে মুখ বের করে বলেন, ‘বাড়ি, বাড়ি যাচ্ছি।’
এর আগেও গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে একাধিকবার নোটিস পাঠিয়েছে এবং সেই হাজিরা তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। এবারও সেই কথাই জানালেন তদন্তকারী সংস্থাকে। প্রশ্ন উঠছে, এর পর সিবিআই কোন পথে এগোবে? কারণ, সোমবারই আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালতে এই মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। এছাড়াও এই মামলার প্রামাণ্য নথি হিসাবে ইতিমধ্যেই আদালতে সিবিআই ৪৯টি জমির ডিড সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনও সূত্রের দাবি, সেই সম্পত্তির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর বেশ কিছু আত্মীয়ের যোগ রয়েছে। বীরভূমের পাশাপাশি কলকাতাতেও রয়েছে সেসব সম্পত্তি।