Aparna Sen Counters Dilip Ghosh : ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া মানেই দেশদ্রোহী নয়’

Anti National Remarks: "আমি তো কংগ্রেসের সময়েও সমালোচনা করেছি। যখন যে সরকার থাকবে, তখন সেই সরকারের সমালোচনা করলেই এটা শুনতে হবে।" মন্তব্য অপর্ণা সেনের।

Aparna Sen Counters Dilip Ghosh : 'প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া মানেই দেশদ্রোহী নয়'
দিলীপ ঘোষকে পাল্টা অপর্ণা সেনের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 11:10 PM

কলকাতা : শুরুটা হয়েছিল বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে। প্রথমে অপর্ণা সেনের (Aparna Sen) বিরোধিতা। তারপর বিজেপি নেতাদের বিশেষ করে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পাল্টা আক্রমণ। আর এবার ফের দিলীপ বাবুকে জবাব দিলেন অপর্ণা সেন। বললেন, “প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া মানেই দেশদ্রোহী হওয়া নয়।”

অপর্ণা সেনের সাফ কথা, “আমি তো কংগ্রেসের সময়েও সমালোচনা করেছি। যখন যে সরকার থাকবে, তখন সেই সরকারের সমালোচনা করলেই এটা শুনতে হবে। আমি জাতীয়তাবাদী নই। আমি মানবতাবাদে বিশ্বাসী। আমি একজন দেশপ্রেমী। রবীন্দ্রনাথও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করতেন না।”

সম্প্রতি বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অপর্ণা সেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “এত ক্ষমতাতেও হচ্ছে না। আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটা সামরিকীকরণ হচ্ছে। এই যে বিএসএফরা, তারা কি যথেষ্ট নয়। কী ভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতা করছে ঠিকই, তবে অপর্ণা সেন সেদিন দাবি করেন, সীমান্তে বাস করা মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও একটু ভাবনাচিন্তা করুক সরকার। তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে উদ্যোগী হোক রাজ্য।

অপর্ণা সেনের সেই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। অপর্ণা সেনের উদ্দেশে বক্রোক্তি করে বলেছিলেন, “ওঁরা চিরদিন দেশদ্রোহী।” শুক্রবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “দেশের পক্ষে যা কিছু, ওঁনারা তার বিরোধিতা করেন। এখন দেশের মন বদলেছে। ওঁনারা তা বুঝতে পারছেন না।”

এর আগে গত মঙ্গলবার টুইটারে বুদ্ধিজীবীদের ‘সন্ত্রাসজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি অপর্ণা সেন, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্নদের একটি পুরনো ছবি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘যাঁরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ান না, তাঁরা বুদ্ধিজীবী নন, সন্ত্রাসজীবী। যাঁরা সমস্ত বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন সেই বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে আপনারা আঙুল তুলছেন? করোনা থেকে আমফান, কোথায় ছিলেন আপনারা? আপনাদের জন্য বাংলার মানুষ লজ্জিত।’ এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও নিশানা ছিল এই বিদ্বজ্জনেরা।

অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। বাংলার মানুষকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা রয়েছে পুলিশের হাতেই। যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ হচ্ছিল তখন অপর্ণা সেন কোথায় ছিলেন।” এরপরই শুভেন্দুর তোপ, “উনি নিশ্চয়ই পে রোলে আছেন, ভাতাজীবী। এরা কাল এসে বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাক।”

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: বঙ্গ বিজেপির আন্দোলন-বিমুখতা দূর করতে দ্রুত রাজ্য কমিটিতে বদল চান দিলীপ