C V Ananda Bose: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ ‘অবৈধ’, যৌথ বিবৃতি ওমপ্রকাশ, গৌতম-সহ ১৪ শিক্ষাবিদের
C V Ananda Boseছ চলতি মাসের শুরুতেই বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে চলছে বিতর্ক।
কলকাতা: চলতি মাসেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Vice-chancellor) হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক চলছে শিক্ষামহলের অন্দরে। এবার রাজ্যপালের (Governor C V Ananda Bose) এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ময়দানে নেমে পড়লেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, গৌতম পালের মতো শিক্ষাবিদরা। চলতি মাসের শুরুতেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও ওমপ্রকাশ, গৌতমদের দাবি, এই নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে ‘অবৈধ’। এই মর্মেই ১৪ জন অধ্য়াপক-প্রাক্তন উপাচার্যরা দিলেন যৌথ বিবৃতি। যা নিয়ে জোর শোরগোল শিক্ষামহলের অন্দরে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল সম্প্রতি ‘পিস অ্যান্ড হারমনি’ কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের উপর। ওই সময়েই ঘোষণা করা হয়েছিল, প্রাক্তন বিচারপতিকে রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে বসানো হবে। চলতি মাসের সাত তারিখ সেই দায়িত্ব নেন তিনি। এদিকে রাজ্যপাল সম্প্রতি ১৩ জন শিক্ষাবিদকে বিশ্ববিদ্য়ালয় পরিচালনার দায়িত্ব সপেছেন। নিয়োগ করেছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে। যা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত জারি ছিলই। এমনকী ওই উপাচার্যদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর শিক্ষা দফতর।
কাটাক্ষবাণ শানাতে দেখা গিয়েছিল ওমপ্রকাশ মিশ্র, গৌতম পাল সহ বাংলার শিক্ষাবিদদের একটি বড় অংশকে। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে একযোগে তোপ দাগেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের ফলে উচ্ছশিক্ষার প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে। কেউ আবার রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তকে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো বলেও কটাক্ষ করেন। তাঁদের সাফ দাবি ছিল, নিয়ম মেনে কাজ করছেন না রাজ্যপাল। যদিও শেষ পর্যন্ত জল গড়ায় আদালতে। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরাই বৈধতা পান। তাঁদের বেতনও দেওয়ার নির্দেশ আসে। এরইমধ্যে এবার ফের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১৪ জন অধ্য়াপক-প্রাক্তন উপাচার্যদের যৌথ বিবৃতি নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। হঠাৎ হঠাৎ অধ্যাপকদের কেন উপাচার্য বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কেন ইউজিসির নিয়ম মানা হচ্ছে না? এই প্রশ্নই তোলা হয়েছে বিবৃতিতে। এ বিষয়ে দ্রুত শিক্ষা দফতরকে পদক্ষে করারও আর্জি জানানো হয়েছে। এখন দেখার কোনও পদক্ষেপ আদৌও করা হয় কি না সরকারের তরফে।