ASHA Workers : ‘বুঝুন কত ধানে কত চাল’, এক মাস কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি আশা কর্মীদের
ASHA Workers : আশা কর্মীদের বক্তব্য, যে কাজ তাঁদের দিয়ে করানো হচ্ছে, সেই মতো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁরা। সাম্মানিক বা ভাতা হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকা দেওয়া হয়। যা একটা সংসার চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।
কলকাতা : মাসে সাম্মানিক পান সাড়ে চার হাজার টাকা। সেই টাকায় সংসার চালানো যায় না বলে তাঁদের বক্তব্য। তাই, ন্য়ূনতম বেতন-সহ ২০ দফা দাবিতে আজ সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখালেন পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্য কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। সল্টলেকের স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি অফিসের সামনে জড়ো হন আশা কর্মীরা (ASHA Workers)। তাঁদের হুঁশিয়ারি, দাবি মানা না হলে এক মাস কাজ বন্ধ রাখবেন তাঁরা।
আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় থেকে পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্য কর্মী সংগঠনের সদস্যরা স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (SUDA) অফিসের সামনে জড়ো হন। আশা কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য মোতায়েন ছিল পুলিশ। আসা কর্মীদের বিক্ষোভ সল্টলেক সুধা অফিসের সামনে।
আশা কর্মীদের বক্তব্য, যে কাজ তাঁদের দিয়ে করানো হচ্ছে, সেই মতো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁরা। সাম্মানিক বা ভাতা হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকা দেওয়া হয়। যা একটা সংসার চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। এমনকি, পাঁচ ছয় মাসে ভাতা বাকি রয়েছে। সেই টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবি জানালেন তাঁরা। আশা কর্মীরা বলেন, “আমরা এখানে লড়াই করতে আসিনি। আমাদের দাবি জানাতে এসেছি।” তাঁদের দাবি, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে হবে। ফরম্যাট প্রথা বাতিল করতে হবে। বন্ধ করতে হবে রেসিডেন্সিয়াল ট্রেনিং। কারণ, রেসিডেন্সিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য মাঝে মধ্যে পরিবারকে ছেড়ে আসতে হয়। এতে তাঁদের অসুবিধা হয়।
আশা কর্মীদের বক্তব্য, নিজেদের দাবি জানিয়ে বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। তাঁদের হুঁশিয়ারি, এবার কাজ না হলে একমাস কাজ বন্ধ রাখবেন তাঁরা। তখন বুঝবেন কত ধানে কত চাল।
গৌরী হালদার নামে কল্যাণী পৌরসভার এক আশাকর্মী বলেন, “আমরা যতটা কাজ করি, সেই অনুসারে টাকা পাই না। পাঁচ-ছয় মাসের ভাতা এখনও পাইনি। করোনা ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে কাজ বন্ধ করে দেব। দেখি কী করে SUDA অফিস কাজ করে।” SUDA অফিসের তরফে এই নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।