Kunal Attacks Suvendu: শুভেন্দুর এত আনন্দ কেন? তাহলে কি ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছিল? দেবযানীর মায়ের চিঠি ইস্যুতে তোপ কুণালের
Kunal Attacks Suvendu: “ শুভেন্দুর কেন এত আনন্দ? তাহলে কী কোনও ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছিল! সিআইডি সেটা তদন্ত করে দেখুক।” কটাক্ষ কুণালের।
কলকাতা: ‘সারদা কাণ্ডে শুভেন্দু-সুজন টাকা নিয়েছে। বিবৃতি দিতে মেয়েকে চাপ দিচ্ছে সিআইডি।’ সম্প্রতি এই মর্মে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সারদা কাণ্ডে (Saradha Scam) অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত তথা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের (Debjani Mukherjee) মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। যা নিয়েই সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে টুইটও করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তোপ দেগেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এবার শুভেন্দুকে পাল্টা তোপ দাগতে দেখা তৃণমূল মুখাপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ২০১৩ সালে সারদা থেকে টাকা নিয়েছেন। সুদীপ্ত সেন তেরো সালেই বলেছেন। আমি সেটা তখনই বলেছিলাম। বাকিটা তদন্ত হোক।” চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বললেন কুণাল। কুণালের আরও দাবি, “দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের চিঠির পর শুভেন্দু অধিকারীর যে ছেলেমানুষী আনন্দ, উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমার তো মনে হচ্ছে তিনি যেন আশা করেছিলেন এরকম একটা চিঠি আসছে। তিনি হয়তো ভাবছেন এরপর তাঁর চাপ একটু কমবে। শুভেন্দুর কেন এত আনন্দ, শুভেন্দু কেন এটা আশা করে বসেছিলেন সেটাও মনে হয় তদন্ত সাপেক্ষ।”
এরপরেই কুণালের প্রশ্ন, “তাহলে কী কোনও ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছিল! সিআইডি সেটা তদন্ত করে দেখুক।” এদিকে এই সারদাকাণ্ডেই দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন কুণাল। সেই কুণালই এবার তাঁর পুরনো সতীর্থের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর। কুণাল যে সময়ের কথা বারবার বলছেন সেই সময় শুভেন্দু ছিলেন তৃণমূলে। বর্তমানে শুভেন্দু বিজেপিতে থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক ইতিহাসের ‘অস্বস্তি কাঁটায়’ শাসকদলও বারবারই বিদ্ধ হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। যদিও কুণালের সাফ দাবি, “বহু পরিশ্রম করে দেবযানীর মায়ের চিঠিকে ঢাল করে সারদা থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ থেকে নিজেকে আড়াল করতে পারবে না শুভেন্দু।”
এদিকে দেবযানীর মায়ের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই এদিন টুইটে শুভেন্দু লেখেন, “এটা আমাকে একটি বিখ্যাত উক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়। যখন সরকার জনগণকে ভয় পায়, তখন স্বাধীনতা থাকে। জনগণ যখন সরকারকে ভয় পায়, তখন স্বৈরাচার থাকে। স্বৈরাচার এবং স্বাধীনতার মধ্যে কোনটা পছন্দ তা পশ্চিমবঙ্গের জনগণের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”