Baguiati Crime: স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি, বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার চক্ষু বিশেষজ্ঞের ঝুলন্ত দেহ
Baguiati Crime: স্বামী সদানন্দ দাসকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। ততক্ষণে খবর চাউর হয়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কলকাতা: এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল বাগুইআটি। বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাগুইআটি এলাকায়। মৃতের নাম সদানন্দ গাস(৫১)।
বাগুইআটির অশ্বিনীনগরের প্রেস্টিজ টাওয়ারে চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন সদানন্দ। শনিবার রাত ন’টা নাগাদ চশমার দোকানের চেম্বার থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। তাঁর স্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী, ঝগড়ার পর ওই চিকিৎসক দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকে যান। স্ত্রী অনেকক্ষণ করে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু সাড়া দেননি তিনি। তারপর দরজা ভিতর থেকে না খোলায় শিলনোড়া দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন।
স্বামী সদানন্দ দাসকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। ততক্ষণে খবর চাউর হয়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল বলে তো সেরকম জানা নেই। আচকমকাই চিকিৎসকের স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। এক প্রতিবেশী বলেন, “আমরা গিয়ে দেখি ডাক্তারবাবুর স্ত্রী কান্নাকাটি করছেন।” পুলিশ চিকিৎসকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কী নিয়ে অশান্তি হয়েছিল? যা থেকে এত বড় সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রতিবেশীদের কথায়, “কোন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয় না। তা বলে এমনটা যে করতে হবে, তার কি কোনও মানে আছে?” কেবলই কি দাম্পত্য কলহ নাকি এর পিছনে আরও অন্যান্য কারণও রয়েছে, সেটা দেখছেন তদন্তকারীরা।