Bank Dacoity: ভেঙে নয়, তালা খুলেই ঢোকা হয়েছিল ব্যাঙ্কে! তবে কি মহেশতলার SBI-এ ডাকাতিতে জড়িত ভিতরের কেউ?
Bank Dacoity: শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে আর পাঁচ দিনের মতোই লকার রুমে তালা লাগিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে যান নিরাপত্তা রক্ষী। দুদিন ছুটির পর সোমবার সকালে যখন ব্যাঙ্ক খুলতে আসেন, তিনিই প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেন।
কলকাতা: মহেশতলার বাটা মোড়ে এসবিআই ব্রাঞ্চের শাখায় ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ঘটনায় জড়িত পরিচিত কেউ। চাবি দিয়ে খুলে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল আততায়ীরা। কোনও তালা ভাঙা হয়নি। এমনকি প্রমাণ লোপাট করতে ক্যামেরা ডিভিআর সব নিয়ে চলে গিয়েছে। কত টাকা ডাকাতি হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। পুলিশের অনুমান, শুক্রবার রাত থেকে রবিবার রাত, এই সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছে। কত জন এসেছিল, সেটাও এখনও পরিষ্কার নয়। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী ব্যাঙ্কে রয়েছেন। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। ব্যাঙ্কের ভিতরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন।
শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে আর পাঁচ দিনের মতোই লকার রুমে তালা লাগিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে যান নিরাপত্তা রক্ষী। দুদিন ছুটির পর সোমবার সকালে যখন ব্যাঙ্ক খুলতে আসেন, তিনিই প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তখনও পর্যন্ত ম্যানেজার এসে পৌঁছননি। তারপর তিনি গিয়ে মহেশতলা থানায় খবর দেন।
পুলিশ গিয়ে তদন্ত করার ফাঁকেই খবর পেয়ে চলে আসেন গ্রাহকরা। কিন্তু তাঁদেরকে ব্যাঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হয় না। পরে নোটিস দিয়ে জানানো হয়, পার্সোনাল লকার সুরক্ষিত রয়েছে। ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক বলেন, “প্রথমে ব্যাঙ্ক থেকে বলা হল, তদন্ত হবে, তারপর বলা হবে। এখন জানতি পারছি পাবলিক লকার সুরক্ষিত রয়েছে। নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে আমরা একটু হলেও শান্তি পেলাম। কাল আবার ব্যাঙ্কে আসতে বলা হয়েছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট চেক হবে। ব্যাঙ্কে আরও নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো উচিত। আজ কপালের জোরে পাবলিক লকারটা বেঁচে গিয়েছে, কাল নাও থাকতে পারে।”