CPIM: মমতার পাড়ায় সিপিএমের প্রচারে ‘বাধা’, সায়রা-মীনাক্ষীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি পুলিশের

CPIM: রেগে লাল হয়ে গিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। সাফ বলেন, “কেন ওদিকে যেতে পারব না সেটা পুলিশকে বলতে হবে। সঠিক কারণ দেখাতে হবে। এই পাড়ায় তো কারও জমিদারি নেই।” অন্যদিকে তোপ দেগেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।

CPIM: মমতার পাড়ায় সিপিএমের প্রচারে ‘বাধা’, সায়রা-মীনাক্ষীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি পুলিশের
কালীঘাটে উত্তেজনা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2024 | 12:31 PM

কলকাতা: হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সিপিএমের প্রচারে বাধা পুলিশের। তুলকালাম কাণ্ড এলাকায়। এদিন ওই এলাকায় প্রচারে দিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। কিন্তু, সেই মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে বাড়ি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই এলাকাতেই এদিন প্রচারের চেষ্টা করেন সায়রা। সঙ্গে ছিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায় সহ প্রচুর বাম-কর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু, রাস্তাতেই ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। পুলিশ সাফ জানায় এই এলাকায় প্রচার সম্ভব নয়। যুক্তি দেওয়া হয় ১৪৪ ধারার। তখনই বাম সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় পুলিশের। বচসা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। 

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে সর্বদাই থাকে ব্যারিকেড। অনুমতি ছাড়া সেখানে প্রবেশ এতটাও সহজ নয়। ওই এলাকাতে বামেদের লোকজন যেতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষীরা। তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এদিকে সায়রা শাহ হালিম বলছেন, “আমি শুধু ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু পুলিশ তো গুন্ডাদের মতো আচরণ করছে।”

রেগে লাল হয়ে গিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। সাফ বলেন, “কেন ওদিকে যেতে পারব না সেটা পুলিশকে বলতে হবে। সঠিক কারণ দেখাতে হবে। এই পাড়ায় তো কারও জমিদারি নেই।” অন্যদিকে তোপ দেগেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, এ রাজ্যের পুলিশ অসভ্য, অপদার্থ। কালীঘাট কী কারও পৈতৃক সম্পত্তি নাকি যে ওখানে কেউ মিছিল করতে পারবে না, “প্রচার করতে পারবে না? এর আগে আমাকেও ওখানে প্রচারে আটকে দেওয়া হয়েছিল। আসলে প্রদীপ যেমন নেভবার আগে দপদপ করে তৃণমূলের হাল তাই। ভাজা লুচি, টোকা মারলেই ভেঙে পড়ে যাবে। আসলে তৃণমূলের শেষ দশা এসে গিয়েছে।”