Monsoon in Bengal: অসুর থাকবে না বর্ষাসুর? বাংলায় চলছে দ্বন্দ্ব

Monsoon in Bengal: মৌসম ভবন বলছে গোটা দেশ থেকেই বিদায়ের পথে বর্ষা। তিরশে সেপ্টেম্বর থেকে বিদায় যাত্রা শুরু করে দিয়েছে মৌসুমী বায়ু। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লির বেশিরভাগ অংশ থেকেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে।

Monsoon in Bengal: অসুর থাকবে না বর্ষাসুর? বাংলায় চলছে দ্বন্দ্ব
কী বলছে হাওয়া অফিস? Image Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2023 | 2:03 PM

কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ধরেই তুমুল বৃষ্টি চলছে গোটা বাংলায়। ভিজছে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাই। এদিকে রবিবার সকাল থেকেই আবার তুমুল বৃষ্টিল হচ্ছে কলকাতায়। শনিবারও দেখা গিয়ে একই ছবি। শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণের হিসাব বলছে বালিগঞ্জ বৃষ্টি হয়েছে ৮৯ মিমি, ঠনঠনিয়া ৫৪.৪০ মিমি, চিংড়িহাটা ৩৯ মিমি। কিন্তু কবে বিদায় নেবে বর্ষা? পুজোর মুখে একটানা বৃষ্টির মধ্য়ে এখন এটাই প্রশ্ন আপামর বাঙালির। 

মৌসম ভবন বলছে গোটা দেশ থেকেই বিদায়ের পথে বর্ষা। তিরশে সেপ্টেম্বর থেকে বিদায় যাত্রা শুরু করে দিয়েছে মৌসুমী বায়ু। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লির বেশিরভাগ অংশ থেকেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে। একই ছবি উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে। এই রাজ্যগুলি থেকেও ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। হাওয়া অফিসের আপডেট বলছে, বর্ষার যে বিদায় রেখা রয়েছে তা গুলমার্গ থেকে ধর্মশালা, পান্থগড়, মাধবপুর থেকে যোধপুর হয়ে বার্মার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মাত্র তিন থেকে চারদিনমের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সব রাজ্য থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। তবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা থেকে বিদায় নিতে আরও একটু সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে বাংলায় যে বর্ষার শেষ ইনিংস চলছে তা আগেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু, বর্ষার এই ঝোড়ো ইনিংসেই তো নাজেহাল অবস্থা বাংলার। এদিন সকাল থেকে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলছে। ভারী বৃষ্টি হচ্ছে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে নিম্নচাপের প্রভাবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় পুরুলিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ১৮৭ মিলিমিটার, মেদিনীপুরে ১২৭ মিলিমিটার, কোচবিহারে ১০০ মিলিমিটার, হাওড়ায় ৬৯ মিলিমিটার, বাঁকুড়া ৬৬ মিলিমিটার।