রাজ্যে ১১ মাস পর খুলল স্কুল, কেমন ছিল উপস্থিতির হার?
কেমন কাটল স্কুল খোলার প্রথম দিন? কলকাতার কোন স্কুলে উপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি?
কলকাতা: অতিমারি করোনা আবহে প্রায় একবছর বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত স্কুল। অবশেষে শুক্রবার থেকে তালা খুলল সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও বেসরকারি স্কুলের। শুরু হল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়াদের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা। যদিও স্কুল খোলার প্রথম দিনেই বনধের গেরোয় পড়়তে হয় পড়ুয়াদের। কোথাও পরীক্ষা না দিতে পারার আশঙ্কায় কান্নাকাটি তো কোথাও ধর্মঘটীদের সঙ্গে ছাত্র-যুবদের বিবাদ, এভাবেই কাটল প্রথম দিনের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা। কিন্তু এইসব ঝক্কি ঝামেলা সামলে শেষ পর্যন্ত কতজন পড়ুয়া পা রাখল স্কুলে? একবার দেখে নেওয়া যাক স্কুল খোলার প্রথম দিনে কলকাতার কোন স্কুলে উপস্থিতির হার কেমন ছিল।
কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত বিদ্যালয় হেরিটেজ স্কুলে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সংখ্যা মোট ৩০। তাদের মধ্যে ২৫ জনই উপস্থিত ছিল এদিন। বালিগঞ্জ শিক্ষা সদন স্কুলে নবম ও দশমে উপস্থিতির হার ছিল ৫০ শতাংশ। আর দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে ছিল পুরো ১০০ শতাংশ উপস্থিতি। তবে উত্তর কলকাতার বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কম। মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ পড়ুয়া এদিন হাজির ছিল স্কুলে। সেদিকে এবার হাজিরার হার দারুণ হিন্দু স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৩ শতাংশের আশপাশে।
এছাড়া অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ৫০ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। ডিপিএস রুবি পার্কে কোভিডের কারণে ৫০ শতাংশ পড়ুয়াকে ডাকা হয়। স্কুলে উপস্থিত ছিল ৫০০জন পড়ুয়া। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশ।
স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, স্কুলে ঢোকার সময় পড়ুয়াদের দূরত্ববিধি মানতে হবে। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সবাইকে পরতে হবে মাস্ক। ক্লাসরুমে সব সময় দূরত্ববিধি মানতে হবে সবাইকে। সহপাঠীর টিফিন বা জল খাওয়া যাবে না। সহপাঠীর বই, ব্যাগ বা অন্য জিনিসপত্র ছোঁয়া যাবে না। স্কুল চত্বরে জড়ো হওয়া যাবে না। স্কুলে ঢুকতে পারবেন না অভিভাবকরা। তবে ১১ মাস পর স্কুল খোলা যাওয়ার আনন্দ, ক্লাসে বসে পড়াশোনা এবং বন্ধুদের সঙ্গে কোভিড দূরত্ববিধি মেনে আড্ডায় প্রথম দিন বেশ আনন্দেই কাটাল পড়ুয়ারা।