Bhawanipore By-Election: ‘আমি টুইট করিনি, কেউ হ্যাক করেছে’, টুইট বিতর্ক অনায়াসে ঝেড়ে ফেললেন সুব্রত
Subrata Mukherjee: অন্যদিকে এদিনই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্লক তৃণমূলের তরফে বহুতলগুলিতে গিয়ে, যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের ভোট দিতে বলা হচ্ছে।
কলকাতা: ভবানীপুরে হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন। অথচ সকাল থেকে ভোটার-লাইন কার্যত ফাঁকা। কোথাও এক লাইনে চার থেকে পাঁচ জন। কোথাও আবার বড় জোর দশজন। এক এক জায়গায় তো সে ছবিতেও আকাল। এরই মধ্যে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দু’টি টুইট করা হয়। বলা হয়, উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বাধে। নির্বাচন কমিশনেও বিষয়টি জানানো হয় বিজেপির তরফে। এবার তারই সাফাইয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন, তিনি টুইটই করতে পারেন না। তাই এ কাজ তাঁর নয়। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলটি কেউ হ্যাক করে থাকতে পারে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি টুইট করতে জানিই না। কারা করেছে এসব আমার জানা নেই। পুলিশকে গিয়ে আমার মোবাইল ফোনটা দিয়ে দিচ্ছি। অভিযোগও জানাব। ওরাই খুঁজে বের করবে কে এমন ভুয়ো টুইট করেছে আমার নামে।”
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা অবধি ভবানীপুরে ভোট পড়ে মাত্র ৭.৫৭ শতাংশ। ভোটদানের এই হার যথেষ্টই খারাপ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, আবহাওয়ার কারণে হয়তো ভোটাদের ভোটকেন্দ্রমুখী করা মুশকিল হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে রোদ ঝলমলে আবহাওয়াই ছিল। তবু ভোটের লাইনে দেখা যায়নি সাধারণ মানুষকে। এরপরই সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের নামে দু’টি টুইট সামনে আসে। ফিরহাদ হাকিমের টুইটটি তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হলেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টটিতে ‘নীল টিক’ নেই। ফলে এটি টুইট নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থেকেই যায়।
এরই মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি ফোনের আউটগোয়িং আর ইনকামিং ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একেবারেই নেই। টুইট কী ভাবে করা হয় সে সম্পর্কেও তাঁর কোনও স্পষ্ট ধারনা নেই। অর্থাৎ সুব্রতবাবু দাবি করেন, এই টুইট তিনি করেননি। এটা অন্য কারও করা। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি অভিযোগ করছি। পুলিশ তদন্ত করে বের করবে এসব কাদের কাজ। আমার নামে ভুয়ো টুইট করা হয়েছে। আমি টুইট করতে জানি না। ভোটটা একটু শেষের দিকে গেলে আমি জিজ্ঞাসা করব পুলিশকে কোন থানায় অভিযোগ করব। আমার বাড়ির এলাকার থানায়। নাকি এই লোকাল থানায়। পুলিশ খুঁজে বের করবে। কেউ যে ইচ্ছাকৃত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কোনও সন্দেহই নেই।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “উন্নয়নের পক্ষে ভোট চাইছেন। চরম অসহায় অবস্থা না হলে কেউ এরকম করে? ওদের তো চিন্তা রয়েছে। এক যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান। আর দুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্জিন যদি কমে যায়, তা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের কেটে উড়িয়ে দেবে। আমরা ইলেকশন কমিশনকে জানিয়েছি, এরা নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করছে। আজকেও ভোট দেওয়ার কথা বলছে। মানুষকে ভোট দেওয়ার কথা বলছে।”
#VoteForDidi Today is a very important day as the by-polls are are being held in 3 seats including Bhabanipur. We have to motivate voters to vote in favour of Didi and ensure that Didi wins by a huge margin.#MamataBanerjeeForBhabanipur pic.twitter.com/XzS4nUxTuP
— MLA Subrata Mukherjee (@MLA_Subrata) September 30, 2021
#BREAKING | গরিবের বসতি থেকে বড়লোকের বহুতল, দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোটদানের আবেদন তৃণমূল কর্মীদের।
সব খবর: https://t.co/qlLoSyDMN9#bhawanipore | #byelection | #BhawaniporeBypoll | #TMC pic.twitter.com/QVU6bwoODq
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) September 30, 2021
অন্যদিকে এদিনই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্লক তৃণমূলের তরফে বহুতলগুলিতে গিয়ে, যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের ভোট দিতে বলা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার সকলকে প্রয়োগ করার কথা বলা হচ্ছে। যদিও এখানেও প্রশ্ন উঠেছে, এ ভাবে ভোটের সকালে ভোটারের বাড়ি গিয়ে কেউ কি ভোট চাইতে পারে।
#BREAKING | ভোটদানের হারেই স্পষ্ট, মানুষ উপনির্বাচন চায়নি: শ্রীজীব বিশ্বাস
সব খবর: https://t.co/qlLoSyDMN9#srijibbiswas | #BhawaniporeByElection | #bhawanipore | #bypoll | @cpimspeak pic.twitter.com/Xbr1QJXzym
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) September 30, 2021
অন্যদিকে ভোটদানের হার নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। শ্রীজীব বলেন, “ভবানীপুরের উপনির্বাচন বুঝিয়ে দিচ্ছে জয়ী প্রার্থীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে যখন নতুন করে ভোট করানো হচ্ছে, মানুষও ভোট না দিয়ে নিজের প্রতিবাদটা জানাচ্ছেন। উপনির্বাচনটা যে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এতেই তা স্পষ্ট।”