Bibhas Adhikari on Partha : বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে? হাত রয়েছে পার্থর? কী বলছেন বিভাস
Bibhas Adhikari on Partha : এদিন বিভাস নিজেই ‘ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট’ দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর সাফ দাবি, “ওনার আচরণে মনে হয় না উনি নির্দোষ।”
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শেষ যে নাম সামনে এসেছে, যা নিয়ে জোর শোরগোল বাংলার রাজনৈতিক মহল তিনি বিভাস অধিকারী (Bibhas Adhikari)। নলহাটিতে বাড়ি বিভাসের। সেখানে তাঁর একটি বিশাল আশ্রম রয়েছে, রয়েছে বিএড কলেজ। এছাড়াও রয়েছে ওষুধের ফ্যাক্টরি। শোনা যায়, এক সময় তৃণমূল ব্লক সভাপতিও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) মুখে শোনা গিয়েছে এই বিভাসের নাম। এবার বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সরাসরি টিভি-৯ বাংলার সামনে মুখ খুললেন বিভাস। দুর্নীতি হয়েছে নাকি হয়নি? প্রশ্ন শুনে খানিক চিন্তিত হতে দেখা গেল নলহাটির বিভাসকে। বললেন, “এখনই এটা বলা মুশকিল। ব্যাপারটা তদন্তের মধ্যে রয়েছে।”
এরপরেই তাঁর ঠোঁটের কোণে দেখা গেল এক চিলতে হাসি। বললেন, “দুর্নীতি কোন আমলে হয়নি বলুন। এনসিটিই আইনটা তৈরি হয় ১৯৯৩ সালে। পশ্চিমবঙ্গ এনসিটিই বলে কোনও জিনিস জানতই না। একবছরে পিটিটিআই করে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ চাকরি হয়েছে। এগুলো অবৈধ নয়? পরবর্তীতে ব্রিজ কোর্স চালু করতে হল। এই ব্রিজ কোর্স কাদের দায়! বামফ্রন্ট আমলে হয়েছিল। কাজেই আমার মনে হয় তারচেয়ে তৃণমূল কম করেছে। তবে আমি কারও নিন্দা করছি না। নিন্দা করাটা ঠাকুরের আদর্শ নয়। আসলে অনেক সময় আইনের অজ্ঞতাতেও এটা ঘটে। তৃণমূলের ক্ষেত্রে যে ঘটবে না, বা ঘটেনি এটা আমি বলছি না।”
তবে একাধিক বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি এদিন বিভাসের মুখে শোনা গেল পার্থ, মানিকদের নাম। নিজেই ‘ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট’ দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর সাফ দাবি, “ওনার আচরণে মনে হয় না উনি নির্দোষ।” তবে মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁর উত্তর, “নির্দোষ কি না এখনই বলতে পারব না। তদন্ত তো চলছে।” প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এদিন বিভাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তল্লাশিও চলে তাঁর ফ্ল্যাটে। যদিও কোনও দুর্নীতির সঙ্গেই তিনি যুক্ত নন, এদিন খানিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বারবার বললেন এ কথা। এমনকী তাপস মণ্ডল হোক বা কুন্তল ঘোষ, কাউকেই না কি তিনি চেনেনই না।