Cyber Fraud: ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে কর্পোরেট কায়দায় লোক ঠকানোর কারবার, প্রতারণার পর্দা ফাঁস বিধাননগরে
Cyber Crime: প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ফ্রান্স ও মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন নাগরিকদের টেক সাপোর্টের নাম করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত অভিযুক্তরা। ধৃতদের এদিন বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন পুলিশকর্মীরা।
কলকাতা: খাস কলকাতায় ফের লোক ঠকানোর কারবারের (Fraud Case) পর্দা ফাঁস। টেক সাপোর্ট ও সার্ভিস প্রোভাইডের নাম করে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণার (Cyber Crime) কারবার চালানো হত। সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে চলত এই লোক ঠকানোর কারবার। বুধবার রাতে সেই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশ (Bidhannagar Police Cyber Branch)। ওই অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মীও রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ফ্রান্স ও মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন নাগরিকদের টেক সাপোর্টের নাম করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত অভিযুক্তরা। ধৃতদের এদিন বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন পুলিশকর্মীরা।
কীভাবে চলত এই প্রতারণার কারবার? জানা যাচ্ছে এই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে ভয়েস ওভার প্রোটোকলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। সূত্রের খবর, মাইক্রোসফ্ট, অ্যামাজনের মতো একাধিক নামী সংস্থার টেক সাপোর্ট ও সার্ভিস প্রোভাইডের নাম করে বিদেশি নাগরিকদের ফাঁদে ফেলত অভিযুক্তরা। তারপর সেই টাকা ওয়ালেট মারফত এই ভুয়ো কল সেন্টারের কাছে আসত। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কোনও মাথা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। ধৃতদের জেরা করে সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় এর আগেও একাধিক ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এই ভাবে ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে কর্পোরেট কায়দায় লোক ঠকানোর কারবার চলত। প্রতারণার এই কারবারও অনেকটাই একই ধরনের। বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন টেক সাপোর্টের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। এবার আরও একবার সেই ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস করলেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।