Telegram-WhatsApp Fraud: হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামে ফাঁদ পেতে কীভাবে হয় প্রতারণা? কী করবেন?

Fraud Case: এবছর বিধাননগর পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত ২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ জানাচ্ছে, সম্প্রতি এই ধরনের প্রতারণার খপ্পরে পড়ে এক ব্যক্তি দেড় কোটি টাকারও বেশি হারিয়েছেন।

Telegram-WhatsApp Fraud: হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামে ফাঁদ পেতে কীভাবে হয় প্রতারণা? কী করবেন?
অনলাইন প্রতারণার কারবার (প্রতীকী ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2023 | 7:44 PM

কলকাতা: নেট দুনিয়ায় লোক ঠকিয়ে টাকা হাতানোর ফাঁদ পেতে বসে রয়েছে প্রতারকদের দল। লোক ঠকানোর কারবারের নিত্য নতুন পন্থা উঠে আসছে। হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ব্যবহার করে মানুষজনকে ঠকিয়ে টাকা তুলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতারকরা। চলতি বছরে এমন অনেকগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে বিধাননগর পুলিশের কাছে। গতবছরে যেখানে এমন অভিযোগ একটিও ছিল না, এবছর সেখানে বিধাননগর পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত ২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ জানাচ্ছে, সম্প্রতি এই ধরনের প্রতারণার খপ্পরে পড়ে এক ব্যক্তি দেড় কোটি টাকারও বেশি হারিয়েছেন।

এমন অবস্থায় তাই আমজনতাকে সতর্ক করল বিধাননগর পুলিশ। কীভাবে প্রতারকরা ফাঁদ পাতে? কীভাবে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়, তার সাম্প্রতিক কিছু কেস স্টাডিও পুলিশের থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতারণার কারসাজি মোটামুটি দুটি উপায়ে হয়।

প্রতারণার ফাঁদ ১:

মানুষকে ঘরে বসে রোজগারের টোপ দেওয়া হয়। যোগাযোগ করা হয় মূলত হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা টেলিগ্রামে। সেখানেই কাজের টোপ দেওয়া হয়। একবার টোপ গিললেই ব্যস! প্রথমে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করা হয়। তারপর সেখানে ইউটিউবের কিছু লিঙ্ক দেওয়া হয়। বলা হয়, সেখানে লাইক করলেই টাকা দেওয়া হবে। বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথম দিকে টাকা দেওয়াও হয়। এরপর আরও মোটা অঙ্কের টাকার টোপ দিয়ে, একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিংবা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে টাকা দিতে বলা হয়। এভাবে কিছুদিন ভাল রিটার্ন দেওয়া হয়। তারপর আরও মুনাফার ফাঁদে পা দিলেই বলা হয়, আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ করতে। যদি কেউ সেই ফাঁদে একবার পা দিয়ে ফেলেন, ব্যস তাহলে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে পগারপার হয় প্রতারকদের দল।

প্রতারণার ফাঁদ ২:

এক্ষেত্রেও অনেকটা একই রকমের কারসাজি করে প্রতারকদের দল। দুর্দান্ত রিটার্নের অফার দিয়ে কোনও একটি জায়গায় বিনিয়োগ করতে বলা হয়। এক্ষেত্রেও অ্যাড করা হয় টেলিগ্রাম গ্রুপে। তারপর কিছু ভুয়ো অ্যাপের লিঙ্ক দেওয়া হয় এবং সেখানে বিনিয়োগ করতে বলা হয়। এক্ষেত্রেও প্রথম দিকে বিশ্বাস অর্জনের জন্য লোভনীয় রিটার্ন দেওয়া হয়। তারপর আরও বেশি মুনাফার টোপে পা দিয়ে মোটা টাকা বিনিয়োগ করে ফেললেই ওই অ্যাপ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীকে লক করে দেওয়া হয়। বিনিয়োগ করা টাকার উপর ওই ব্যক্তির তখন আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

এমন অবস্থায় তাই শহরবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে বিধাননগর পুলিশ। পুলিশের তরফে একটি অ্যাডভাইজরিও জারি করা হয়েছে।

জেনে নিন এসব প্রতারকদের খপ্পর এড়িয়ে চলতে কী কী করণীয়

১. এই ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে প্রলুব্ধ হবেন না। টেলিগ্রাম থেকে বিনিয়োগ কিংবা আয়ের কোনও গ্রহণযোগ্য স্কিম নেই।

২. যেখানে বিনিয়োগ করছেন, সেই সংস্থার ব্যাকগ্রাউন্ড ভাল করে জেনে নিন।

৩. অচেনা-অজানা কোনও নম্বর থেকে মেসেজ এলে কোনও উত্তর করবেন না।

৪. হঠাৎ করে যদি কোনও অচেনা টেলিগ্রাম গ্রুপে আপনি অ্যাড হয়ে যান, সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন।

৫. বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজার দরের থেকে বেশি রিটার্ন দিচ্ছে, এমন কোনও অফারে পা দেওয়ার আগে সচতেন হন। বিশেষ করে যখন তা হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো চ্যাটিং অ্যাপ থেকে আসছে।