Bidhannagar: ‘ভীষণ নোংরা, এখন আর কিচ্ছু হওয়ার নেই…’, মেয়র প্রসঙ্গ উঠতেই ফুঁসে উঠলেন সল্টলেকবাসী, যা সব বললেন ভিতরের কথা
Bidhannagar: বরো ৬ নম্বরের এক বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, "পুর পরিষেবা ৫০ শতাংশ পাচ্ছি। বাড়ির সামনে জল জমে, এটাই বড় সমস্যা।" তাঁর মতে, কৃষ্ণা চক্রবর্তী তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সক্রিয়। তিনি বলেন, "কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ব্যবহারটা ভাল। ঔদ্ধত্য কম। কিন্তু ওঁর বিষয়টা কী জানেন তো!"
কলকাতা: বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র, ডেপুটি মেয়র কুর্সি বদল নিয়ে জোর জল্পনা, আজই কি সিদ্ধান্ত? পুর পরিষেবা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ পুরপ্রশাসন। তাই কি সরানো হতে পারে বিধাননগরের মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রকে? এমনটাই সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে তৃণমূলেরই অন্তরে। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ নগরায়ন দফতরে পুরনগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে বিধাননগর পৌর নিগমের ৪১ টি ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক।
উল্লেখ্য, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলো ঠিক করতে চাইছে তৃণমূল। নাগরিক পরিষেবা যেন সর্বোচ্চ স্তরে পায় সেই দিকে মূল প্রাধান্য দেওয়া হবে এমনটাই খবর। বিধাননগর পুর নিগমের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে ছিল তথাপি লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ ওয়ার্ডে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি।
বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান মেয়র ডেপুটি মেয়র ওয়ার্ডে হেরেছে শাসকদল। কেন এই ধরনের ফলাফল যোগ্যতা বিচার করে এবার সাফাই অভিযানে দল। বিধান নগর পৌরনিগমের নাগরিকদের অধিকাংশের অভিযোগ, নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ পুরপ্রশাসন। এলাকারই এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা সেরকম কোনও পরিষেবা পাই না। ময়লা আমরা নিজেরাই পরিষ্কার করি। সব দোকানদাররা মিলে ১০ টাকা করে তুলে একজনকে দিই। তারপরই নিজেরাই লোক দিয়ে পরিষ্কার করাই।”
বিধাননগরের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “রাস্তাঘাট ভীষণ নোংরা। সিস্টেম ভাল না। কোনও দেখাশোনা নেই। বিধাননগরটা আলাদা করে পেলে হয়। এখানে অনেক ভিআইপি-বাবুরা থাকেন। পরিষ্কার থাকলে তো ভালই হয়। রোজই ময়লা থাকে। সারা কলকাতারই তো একই অবস্থা।”
রিচা নামে এক মহিলা বাসিন্দা বলেন, “অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। রাস্তার ধারও দখল হয়ে যাচ্ছে। তাতে সত্যিই সমস্যা হয়।” ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সঞ্জয় বরা। করুণাময়ীর ওই বাসিন্দা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিধাননগর কর্পোরেশনের বাসিন্দারা কোনও পরিষেবা ঠিক মতো পাইনি। মেয়র, ডেপুটি মেয়র পরিবর্তন হলেও যে কী হবে আশা করা যায় না। কোনও বোর্ড মিটিংও তো দীর্ঘদিন হয়নি। ফলে সুরাহা তো দেখতে পাচ্ছি না। নিকাশি ব্যবস্থা সবার আগে ঠিক করা প্রয়োজন। পরিবর্তন তাদের ব্যাপার। কিন্তু পরিষেবাটা ঠিক করে পায় নাগরিকা। ভোট লুঠ করে জিতেছে ওরা। এখন সবটাই ওদের ব্যাপার।”
বরো ৬ নম্বরের এক বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “পুর পরিষেবা ৫০ শতাংশ পাচ্ছি। বাড়ির সামনে জল জমে, এটাই বড় সমস্যা।” তাঁর মতে, কৃষ্ণা চক্রবর্তী তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সক্রিয়। তিনি বলেন, “কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ব্যবহারটা ভাল। ঔদ্ধত্য কম। কিন্তু ওঁর বিষয়টা কী জানেন তো! চেয়ারম্যান চলে যান, তখন দায়িত্বে আসেন। মেয়র চলে গেলে, মেয়র হন। ওঁ চেষ্টা করেন। দলটারই যা অবস্থা, বিধাননগরের রাস্তা দেখবেন, কিচ্ছু করার নেই কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। দলটারই কিচ্ছু নেই। কেউ এলেই আর কিছু করতে পারবে না। ৪০ টা রকমের বাতিস্তম্ভ থাকবে, আর কিচ্ছু হবে না।”
প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিধাননগরের পুর পরিষেবার উন্নয়ন! সে সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না দল। তাই এদিনের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।