Biman Banerjee: ‘কটু কথার প্রতিযোগিতা, অপরাধের মাত্রা সমান’, অখিল-শুভেন্দু ইস্যুতে সরব অধ্যক্ষ
Suvendu-Akhil: বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কি মনে করেন উভয়েই সমান অপরাধী? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নিশ্চয়ই। অপরাধের মাত্রা সমান।"
কলকাতা: সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। প্রথমত, তিনি মহিলা। দ্বিতীয়ত, আদিবাসীদের প্রতিনিধি। তৃতীয়ত, তিনি রাষ্ট্রপতি। এমন একটি হাতে গরম ইস্যু পেয়ে বিরোধী শিবির নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে শাসক পক্ষকে। পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবার যে মন্তব্য সম্প্রতি করেছেন, সেটিকে হাতিয়ার করে প্রতি আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল শিবির। অখিল গিরি এবং শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তিনি কি মনে করেন উভয়েই সমান অপরাধী? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিশ্চয়ই। অপরাধের মাত্রা সমান।”
বিগত কিছুদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে কটূক্তি ঘিরে যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “আপনি যদি মনে করেন, কেউ উঁচু জায়গায় রয়েছেন, কেউ নীচু জায়গায় রয়েছেন… কথাটা তা নয়। বিষয়টি হল আমরা কারও সম্বন্ধে কটূ কথা বলব না, এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া দরকার। সে যে কেউ হতে পারেন। সাধারণ মানুষ হতে পারেন, মন্ত্রী হতে পারেন, অন্য কেউ হতে পারেন।” অধ্যক্ষের আরও সংযোজন, “আমি অনেকবার বার্তা দিয়েছি। বিধানসভার ভিতরে তো এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ করা যাবে না। আমাদের রুলে যা আছে, আমরা সেই মতো চলি। বিধানসভার বাইকে কে কী বলছেন, সেটি আপনাদের ব্যাপার।”
অখিল গিরির মন্তব্য ঘিরে বিরোধীরা বিধানসভায় আলোচনা করতে চান বলে কানাঘুষো ছড়িয়েছে। সেই বিষয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার কাছে এখনও আলোচনার দাবি কেউ করেননি। যদি দাবি করেন, সেটি আমি পর্যালোচনা করব। যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমি আলোচনার অনুমতি দেব। বিষয়টি তো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতের থেকে তো উপযুক্ত জায়গা তো নেই। বিধানসভায় যদি কেউ উত্থাপন করতে চান করবেন, সেই অনুযায়ী আমি ব্যবস্থা নেব।” যদিও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো যা বলার বলেছেন। অখিল গিরি ক্ষমা চেয়েছেন। এরপর আর কী থাকতে পারে আমি তো কিছু বুঝি না।”
তিনি আরও বলেন, “এখন তো কটূ কথার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কে কত কটূ কথা বলতে পারেন। এটা তো আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। বার বার একই কথা বলি। এগুলি থেকে বিরত থাকলে কোনও অসুবিধা নেই। রাজনৈতিক দল তাদের কাজকর্ম করবে। কিন্তু গালাগালি দিয়ে, বাজে কথা বলে এসব করার কী কারণ রয়েছে, তা তো আমি বুঝি না। যে কোনও দলেরই হোক না কেন।”