Biman Bose: ‘এই বয়সে হাতেখড়ির মানে কী?’, রাজভবনে এসেও প্রশ্ন বিমানের
CV Ananda Bose: হাতেখড়ির বিরোধিতা করেও রাজভবনে বর্ষীয়ান বাম নেতা বিমান বসু। যদিও হাতেখড়ির মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তিনি বেরিয়ে যান রাজভবন থেকে।
কলকাতা: রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে আজ চাঁদের হাট। রাজনীতিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশিষ্ট শিল্পীরা উপস্থিত রয়েছেন। এদিন রাজভবনে বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। তবে সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) বিকেলে রাজভবনে এসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু (Biman Bose)। হাতেখড়ির বিরোধিতা করেও রাজভবনে বর্ষীয়ান বাম নেতা। যদিও হাতেখড়ির মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তিনি বেরিয়ে যান রাজভবন থেকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চা চক্রে যোগ দিতে এসেছিলেন, কিন্তু হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন না। বিমান বসুর প্রশ্ন, “এই বয়সে হাতেখড়ি মানে কী? কতগুলি বিষয় আছে যেগুলি এড়িয়ে যেতে হয়। এটিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসুর হাতেখড়ির অনুষ্ঠান ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও গরহাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণও টুইটে বিস্তারিত জানিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান রাজ্য সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি আমজনতার করের টাকায় এই অনুষ্ঠান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যদিও রাজ্যপালের বাংলার সংস্কৃতির প্রতি টান ও বাংলা ভাষা শেখার ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানের আড়ম্বর নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, ‘কখনও শুনেছেন একবার বাংলায় হাতেখড়ি হয়েছে, একবার ইংরেজিতে হাতেখড়ি হয়েছে, আবার হিন্দিতে আলাদা করে হাতেখড়ি হয়েছে?’ সঙ্গে সেলিমের আরও সংযোজন, রাজ্যপাল যদি জেলের মধ্যে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হাতেখড়ি নিতেন, তাহলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার পরিষ্কার চিত্রটি সামনে আসত।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। যদিও পাল্টা বক্তব্য ছিল রাজ্যের শাসক শিবিরেরও। তৃণমূলের থেকে বলা হচ্ছিল, রাজ্যপাল যদি বাংলা শিখতে চান তবে তাঁকে উৎসাহিত করা উচিত। কিন্তু তা না করে বিরোধী শিবিরের বিভিন্ন নেতাদের থেকে যে সব মন্তব্যগুলি বিগত কয়েকদিন ধরে উড়ে আসছিল, তা মোটেই ভালচোখে দেখেনি তৃণমূল।