জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে ৫০০০ কোটির চাল দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির
কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই দামে কতজন কৃষকের কাছে থেকে শষ্য কেনা হয়েছে, তার কোনও তথ্যই নেই বলে আরটিআই-এ উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
কলকাতা: সপ্তম দফা ভোটের আগের সন্ধ্যায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নতুন বোমা ফাটাল বিজেপি। এ বার শাসকদলের বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে ৫০০০ কোটি টাকার চাল দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। জ্যোতিপ্রিয়র নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখিত সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরে দাবি করা হয়, বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতি চলছে রাজ্যের খাদ্য দফতরে।
কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন কৈলাস দাবি করেন, “প্রধানমন্ত্রী পরিবার পিছু পাঁচ কেজি চাল দিয়েছেন। বাংলাতেও সেই রেশন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গরিবরা তাঁদের বরাদ্দ পায়নি তৃণমূল সরকার এবং দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রীর জন্য।” কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই দামে কতজন কৃষকের কাছে থেকে শষ্য কেনা হয়েছে, তার কোনও তথ্যই নেই বলে আরটিআই-এ উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির আরও অভিযোগ, চেকের বদলে ক্যাশ দিয়ে ধান কিনেছে গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চালের পাশাপাশি আমফান পরবর্তী সময় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ত্রিপল পাঠানো হলে সেটাও চুরি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন সরবরাহে মসৃণতা আনতে রাজ্যে নিয়োগ বিশেষ নোডাল অফিসার
বিজেপির স্পষ্ট অভিযোগ, তাদের হাতে গত পাঁচ বছরের এই সমস্ত দুর্নীতির প্রামাণ্য নথি রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর গড়ে ১০০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। এভাবেই মোট ৫০০০ কোটির দুর্নীতির প্রমাণ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে বিজেপি পেয়েছে বলে দাবি করেন বিজয়বর্গীয়। শুধু তাই নয়, নোটবন্দির সময় জ্যোতিপ্রিয়র দুই কন্যা মণিদীপা এবং প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের অ্যাকাউন্ট থেকে চার ও তিন কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করে বিজেপি।
আরও পড়ুন: করোনার বাড়বাড়ন্ত! সরকারকে ‘ফুল নম্বর’, উদাসীনতাকেই ‘ভিলেন’ বানালেন স্বাস্থ্যকর্তা