BJP Election Panel: দীনেশেই ভরসা বঙ্গ বিজেপির, নির্বাচনের প্রচার কমিটি ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির
BJP Election Panel: কলকাতাকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে ও চারজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই চারটি জোনের ইনচার্জ হিসেবে থাকছেন রুদ্রনীল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, তুষার ঘোষ এবং কল্যান চৌবে।
কলকাতা: পুরভোট নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। বঙ্গ বিজেপির বৈঠক হয়েছে আগেই। এবার কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের জন্য নির্বাচনের প্রচার কমিটি ঘোষনা করল বিজেপি। কলকাতার জন্য ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে। এ ছাড়া রথীন চক্রবর্তীকে দেওয়া হল হাওড়ার পুরভোটের দায়িত্ব।
আজ বুধবার সেই কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। দীনেশ ত্রিবেদীকে কলকাতার পুরভোটের ‘ইনচার্জ’ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, কলকাতা পুরনিগমের পর্যবেক্ষক করা হল সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতকে। এ ছাড়া কলকাতাকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে ও চারজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই চারটি জোনের ইনচার্জ হিসেবে থাকছেন রুদ্রনীল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, তুষার ঘোষ এবং কল্যান চৌবে। রুপা গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৪ জন কে নিয়ে পরিচালন কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
এ দিকে হাওড়ার কমিটির মাথায় থাকছেন রথীন চক্রবর্তী। আর হাওড়ার কমিটি থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং-কে। মনে করা হচ্ছে, বহিস্কৃত সুরজিৎ সাহার ঘনিষ্ঠ বলে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, হাওড়া ও কলকাতা দুই কমিটি মাথায় থাকা দীনেশ ত্রিবেদী ও রথীন চক্রবর্তী উভয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। তৃণমূল ছেড়ে আসা অর্জুন সিং-ও পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, এই কমিটি গঠনের বৈঠকের পরই বোমা ফাটান হাওড়া সদরের নেতা সুরজিৎ সাহা। একটি ভিডিয়োতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন সুরজিৎ। একদিকে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি, নারদ-কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। আর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কার করে বঙ্গ বিজেপি।
হাওড়া পুরভোটের জন্য তৈরি করা কমিটিও মানতে নারাজ হন তিনি। রথীন চক্রবর্তীকে নিয়েই আপত্তি ছিল তাঁর। তিনি দাবি করেছিলেন, আসলে পুরভোটের জন্য তৈরি করা এই কমিটি তৃণমূলের বি-টিম। এই টিমের অধীনে তিনি বা হাওড়ার অন্য কোনও বিজেপি কর্মী কাজ করবে না বলেই জানিয়ে দেন তিনি। এরপরই দল থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।
যদিও পুরভোট নিয়ে ওখনও অনিশ্চতা রয়েছে। রাজ্য চায় ১৯ ডিসেম্বর পুর ভোট করতে। কিন্তু, আদৌ কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট হবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনই তারা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে ভোট নিয়ে মামলা চলছে। তাই মামলা চলাকালীন কোনওরকম ভোটের বিজ্ঞপ্তি কমিশন জারি করবে না। এ বিষয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্বাচন নিয়ে তারা কী ভাবছে, হলফনামায় সেটাই তুলে ধরতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ নভেম্বর।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালির জমিতে জমছে জল, মমতা বললেন ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, চিঠি যাবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে?