Arjun Chaurasia: অর্জুনের জামাকাপড় ফেরত দিচ্ছে না কমান্ড হাসপাতাল, আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য

Arjun Chaurasia: গত সপ্তাহে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ। পরে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয় কমান্ড হাসপাতালে।

Arjun Chaurasia: অর্জুনের জামাকাপড় ফেরত দিচ্ছে না কমান্ড হাসপাতাল, আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য
বিজেপি যুব নেতার মৃত্যু নিয়ে মামলা হাইকোর্টে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 5:45 PM

কলকাতা : আদালতের নির্দেশে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল কমান্ড হসপিটালে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর জামাকাপড় ও অন্যান্য জিনিস রাজ্য সরকারকে হস্তান্তর করছে না কমান্ড হাসপাতাল। ফলে ওই জিনিসগুলি তদন্তের স্বার্থে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো যাচ্ছে না। এমনটাই দাবি রাজ্য সরকারের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি যুবনেতার মৃত্যু নিয়ে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে এমনটাই বলেছেন আইনজীবী।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। আইনজীবীর দাবি, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই জিনিস হস্তান্তর করবে না তারা। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকারের। তদন্তের কাজ আটকে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কেন ওই জামাকাপড় ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, তা অবিলম্বে জানতে চায় রাজ্য।

কমান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের একটি কপি ইতিমধ্যেই রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফটোগ্রাফ, এক্সরে, ভিসেরা রিপোর্টও জমা পড়েছে আদালতে। আদালতে বুধবারই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করছে। আর বিজেপির তরফে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের দাবি, রাজ্যের পুলিশ কোনও মামলা শুরুই করেনি।’ এবার এই মামলায় নতুন দাবি জানাল রাজ্য।

এ দিকে, অর্জুন চৌরাসিয়ার মা ও দাদার সঙ্গে বুধবার কথা বলেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এ দিন, বিশেষ তদন্তকারী দল প্রথমে অর্জুনের দাদার সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চিৎপুর থানা থেকে বেরন দাদা আনন্দ চৌরাসিয়া। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ঘোষবাগান লেনের বাড়িতে পৌঁছয় বিশেষ তদন্তকারী দল। সঙ্গে ছিলেন মহিলা অফিসারও। বাড়িতে গিয়ে অর্জুনের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।

অমিত শাহের বাংলা সফরকালেই এই যুবনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। পরিবারের তরফে আদালতে মামলা করা হয়। রাজ্য সরকারি হাসপাতালে যাতে ময়নাতদন্ত না হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছিল। এরপরই আদালতের তরফে কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।