Priyanka Tibrewal: ‘এরকম আচরণ করেছে পুলিশ’, ছবি প্রকাশ করে পাল্টা তোপ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের
Bhabanipur: বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এদিন মৃতদেহ নিয়ে বিজেপি অফিস থেকে সোজা ভবানীপুরে চলে যান প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সহ একাধিক নেতা-নেত্রী।
কলকাতা: ভবানীপুরে (Bhabanipur) পুলিশের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এমনকি ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদার, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal), অর্জুন সিং (Arjun Singh)- সহ দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আর তারপরই ছবি প্রকাশ করে সরাসরি ডিসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
গতকাল সন্ধেয় ভবানীপুরে মানস সাহার দেহ নিয়ে যায় রাজ্য বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। ঘটনার পরই সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছিলেন নেত্রীদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করেনি পুলিশ। আর আজ একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে হাত ধরে সরানোর চেষ্টা করছেন ডিসিপি। এই ছবি দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন, ‘ডিসিপি আমার সঙ্গে ঠিক এমনই আচরণ করেছেন, যখন আমি তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলাম। আর তারপর পুলিশ আমার বিরুদ্ধেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে।’
এ দিকে, কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেন, ভবানীপুরে ডিসি সাউথ তাঁর সঙ্গে যা করেছে তাতে আইন শৃঙ্খলা নিরপেক্ষ থাকলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হতো। একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানান, কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ডিসি সাউথ আমাকে যে ভাবে টানা হ্যাঁচড়া করেছে তা এক প্রকার শারীরিক হেনস্থা। যদি এ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নিরপক্ষে হতো, তা হলে ওনার বিরুদ্ধে অ্যাটেম্পট টু মার্ডারের অভিযোগ উঠত।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধের ঘটনার পর পথ অবরোধ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৫, ১৪৭. ১৪৭, ২৮৩, ৩৫৩ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার, ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতালে বেলা দশটা কুড়ি নাগাদ মৃত্যু হয় মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। প্রার্থীর মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের। শববাহী গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করার চেষ্টাও করেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভবানীপুরের রাস্তায় মৃত বিজেপি নেতা মানস সাহার মরদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতারা। পুলিশ তাঁকে টেনে তোলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই ঘটনাতেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ।