তৃণমূল করলে আহামরি, বিজেপি করলেই অতিমারি: শমীক ভট্টাচার্য
BJP: শমীকের প্রতিক্রিয়া, 'এই রাজ্য সরকারে অসহিষ্ণু সরকার। এমন অসহিষ্ণু সরকার আর আগে কোথাও ক্ষমতায় আসেনি।'
কলকাতা: উত্তরবঙ্গের পর দক্ষিণবঙ্গ। বিজেপির বিশেষ কর্মসূচি ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’য় বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল রাজ্য বিজেপি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন শমীক ভট্টাচার্য ও অর্জুন সিংহ। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করে শমীকের মন্তব্য, দেশের কোথাও এমন অসহিষ্ণু সরকার নেই। তাঁর দাবি, ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’-র কথা জানত প্রশাসন। কোভিড বিধি মেনে প্রশাসনকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি এবং প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার চেয়েই কর্মসূচি করতে নেমেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার পর যা হল তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য শমীকের। তিনি বলেন, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, একের পর এক বিধায়ক ও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে চলার পরেও একের পর গ্রেফতারি হয়েছে রাজ্যে। বিজেপি নেতার মন্তব্য, “এমন অসহিষ্ণু সরকার আর আগে কোথাও ক্ষমতায় আসেনি।”
বিজেপির দাবি, এদিন ১২ বছরের আদিবাসী বালিকা রাগিনী বারিক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলাকে সংবর্ধনা দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার বয়স জানার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে শমীকের প্রতিক্রিয়া, ‘এই রাজ্য সরকারে অসহিষ্ণু সরকার। এমন অসহিষ্ণু সরকার আর আগে কোথাও ক্ষমতায় আসেনি।’ তিনি যোগ করেন, নির্বাচনের পর ‘তালিবানী কায়দায়’ বিরোধীদের খুন করেছে রাজ্যের শাসক দল। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে এ রাজ্যে। চাকরির অধিকার কেড়ে নিয়ে, এই সরকার অনুদানে বাঁচাতে শেখাচ্ছে। কোনও শহীদ পরিবারের বাড়িতে যেতে দেওয়া হয় না বিরোধীদের, অভিযোগ শমীকের।
তাঁর সংযুক্তি, বিরোধী দল নেতা এবং সাংসদকে যেভাবে আটক করা হচ্ছে, তা ভারতবর্ষে আর কোথাও হয় না । ভ্যাকসিনের জন্য মানুষকে রাত জাগতে হচ্ছে। কত ভ্যাকসিন পেয়েছে আর কত দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেনি রাজ্য। অথচ যেভাবে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে তৃণমূল যা করবে আহামরি, বিজেপি করলেই অতিমারি। কটাক্ষ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের।
এর আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, রাজ্যে কোথাও আইনের ব্যবস্থা নেই। এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি। আরও পড়ুন: পুলিশের সঙ্গে বচসা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ