Mamata Banerjee: মমতার কনভয়ের মাঝে ঢুকল অন্য গাড়ি! শঙ্কর বলছেন ‘পুলিশের ভিতরেও ক্ষোভ’
Shankar Ghosh: শঙ্করের প্রশ্ন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাচ্ছে। সব খবরই তো পুলিশের কাছে থাকে। তা সত্ত্বেও তাঁর কনভয়ের মধ্যে কীভাবে গাড়ি ঢুকল?' এরপরই শঙ্করের সংযোজন, 'পুলিশের অভ্যন্তরে ক্ষোভ তো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। আমি জানি না, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের মধ্যে কোনও ধরনের দুর্বলতা জন্মেছে কি না।'
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের মাঝে কীভাবে অন্য গাড়ি ঢুকে পড়ল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও বটে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর কী পাওয়া গেল, সেটা যাতে ‘মুখ্যমন্ত্রীর দফতর তথা পুলিশমন্ত্রীর দফতর থেকে সর্বসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয়’ সেই দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বকেয়া মহার্ঘভাতার ইস্যুতে পুলিশের একাংশের মনেও ক্ষোভ জমেছে বলে মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ফেরার পথে গতকাল আচমকা একটি গাড়ি ঢুকে গিয়েছিল তাঁর কনভয়ের মাঝে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রায় ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটছিল সেই গাড়িটি। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালককে ব্রেক কষতে হয়। কপালে চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। গতকাল এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল চার দিকে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চান না মমতা। তিনি বলেছেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।
আর এক্ষেত্রেই শঙ্করের প্রশ্ন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাচ্ছে। সব খবরই তো পুলিশের কাছে থাকে। তা সত্ত্বেও তাঁর কনভয়ের মধ্যে কীভাবে গাড়ি ঢুকল?’ এরপরই শঙ্করের সংযোজন, ‘পুলিশের অভ্যন্তরে ক্ষোভ তো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। আমি জানি না, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের মধ্যে কোনও ধরনের দুর্বলতা জন্মেছে কি না। যাঁরা পুলিশের নীচুস্তরের রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির পোষা প্রাণীর মতো ব্যবহার করা হয়।’
যদিও পুলিশের একাংশের মধ্যে যে ক্ষোভের তত্ত্ব তিনি তুলে ধরছেন, সেই কারণেই এই ত্রুটি হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট নন বিজেপি বিধায়ক। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘আইপিএস, আইএএসদের মতো বড় অফিসারদের দিয়ে পুরো রাজ্য চালাতে গিয়ে অন্যদের অবদলিত করা হচ্ছে। পুলিশও ডিএ, ইত্যাদি পাচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ জন্মেছে। তবে আমি এটা বলতে পারব না, এইসব ক্ষোভের পরিণতিতে এই ধরনের কোনও ত্রুটি হয়েছে কি না।’
এদিকে শঙ্কর এই ধরনের তত্ত্ব খাঁড়া করায় বেজায় চটেছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শঙ্করকে পাল্টা দিয়ে তিনি এগুলিকে ‘তুচ্ছ রুচিহীন কথাবার্তা’ বলেই ব্যাখ্যা করছেন। বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা ফেরার পথে একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছিলেন। কপাল গুণে জোর বেঁচে গিয়েছেন। তাতেও গুরুতর চোট লেগেছে। কনভয়ের মধ্যে আচমকা একটি গাড়ি চলে আসায় ব্রেক কষতে হয়। মাথায় চোট লাগে। বিজেপির এই কীভাবে লাগল, কেন লাগল… এই সস্তা কুরুচিকর রাজনীতিতে তৃণমূল বিশ্বাসী নয়। যে কোনও দলের কারও যদি এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত, সেক্ষেত্রেও আমাদের একটাই কথা, দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।’