AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘নন্দীগ্রামে আগে ভাগে প্রার্থী দিয়ে ঝটকাটা তো ভালই খেলেন’, প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ

Bhawanipore By Election: যে কোনও সময়ই বিজেপি প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেবে, মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

'নন্দীগ্রামে আগে ভাগে প্রার্থী দিয়ে ঝটকাটা তো ভালই খেলেন', প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ
অলংকরণ: অভিজিৎ বিশ্বাস
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 10:42 AM
Share

কলকাতা: মাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তাও যে এত হাই ভোল্টেজ হতে পারে, ভবানীপুর কেন্দ্র না থাকলে বোধ হয় বোঝাই যেত না। একদিকে আইনি তরজা যেমন শুরু হয়েছে এই উপনির্বাচন ঘিরে, তেমনই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক খুটোখুটিও। ভবানীপুরে (Bhawanipore By Election) তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর পর আর কাকে বিজেপি মমতার পাল্টা চ্যালেঞ্জ হিসাবে ছুড়ে দেয় এখন সেদিকেই নজর। তবে এই নাম ঘোষণা নিয়ে বিজেপির ধীর গতিকে ইতিমধ্যেই যেমন কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পাল্টা বিজেপিরও দাবি, যারা এত আগে ভাগে প্রার্থী দিয়েছিল, নন্দীগ্রামে তারা কি কিছু করতে পারল? বৃহস্পতিবার এই উপনির্বাচন নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগে ভাগে প্রার্থী দিলেই কি ভোটে জেতা যায়? ওনারা তো দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। কী হল? আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। দু’ মাস আগে থেকে প্রার্থী দিয়েছিলেন। অথচ ফলাফল তো দেখে নিয়েছে সকলেই। লড়াই করেন, দৌড়াদৌড়ি করেন। লোকসভাতেও আগে প্রার্থী দিয়েছিলেন। তারপর ঝটকাটা খেলেন। নির্বাচনটা তো মাঠে হয়। সেটা ভুলে গেলে চলবে কী করে।” একই সঙ্গে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে কোনও সময়ই প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।”

একই সঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ আবারও শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েও সরব হন। ভবানীপুর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে সে প্রসঙ্গে বলেন, “স্বাভাবিক ভাবেই ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন। আদালতই যা বিচার করার করবে। সমস্ত দিক গুলো আলোচনা হবে। অন্যান্য রাজ্যেও তো উপনির্বাচন। তারা এখন বলছে উপনির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই। পশ্চিমবঙ্গে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে না। কলকাতা সব সময় স্পর্শকাতর। যারা বিধানসভা নির্বাচনে চেঁচিয়ে বলেছিল, করোনার মধ্যে ভোট হলে মানুষের জীবনের ঝুঁকি হচ্ছে, তারা এখন সে সব ভুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ধরে রাখার জন্য অন্য কথা বলছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান, তা হলে কি সংকট তৈরি হবে না? তাই স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ জানতে চাইছেন নির্বাচন কমিশন কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাউকে বিধায়ক বা মুখ্যমন্ত্রী করা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না।”

প্রসঙ্গত, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাটি দায়ের করেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী। সেই মামলায় তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই মামলায় দাবি করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে শুধুমাত্র ভবানীপুর বিধানসভা আসনে চটজলদি উপনির্বাচন চাওয়ার জন্য বলেছেন। মুখ্যসচিব মাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়েছেন কমিশনকে লেখা চিঠিতে। কিন্তু কেন তিনি মাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চাইলেন? তিনি কি এভাবে কেবল একটি কেন্দ্রের ভোট চাইতে পারেন?

আরও পড়ুন: সাইকেলের চাকায় জড়াল দড়ি! অভিনব কায়দায় কেপমারি, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধ