Maan Ki Baat: ‘দিদির দূত’-এর পাল্টা জনগণের ‘মন কি বাত’, গ্ৰামে ঘুরবেন বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যরা
সাধারণ মানুষের ‘মন কি বাত’ কর্মসূচি তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিটি পর্যায়ে ১৪টি করে সাংগঠনিক জেলায় ঘুরবেন সংগঠনের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই মরিয়া হয়ে উঠছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল। একদিকে যখন জনসংযোগ বাড়াতে ও শক্তি যাচাই করতে তৃণমূল দিদির দূত’ দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল, তখন এর পাল্টা গ্রামে-গ্রামে মন কি বাত কর্মসূচি নিয়ে এল বিজেপি। তবে এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত নয়। সাধারণ মানুষের মন কি বাত শুনবেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা-কর্মীরা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের ‘মন কি বাত’ শুনতে গ্রামে-গ্রামে যাবেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা-কর্মীরা। দিদির দূত ফিরে আসার পরই গ্রামে যাবেন তাঁরা। আপাতত ৪০ দিনের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৪০ দিনে ৩ হাজার গ্রামে ঘোরার পরিকল্পনা রয়েছে। যুব মোর্চার তরফে কারা কোন গ্রামে যাবেন, তাও স্থির করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরাও অংশগ্রহণ করবেন এই কর্মসূচিতে।
জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের ‘মন কি বাত’ কর্মসূচি তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিটি পর্যায়ে ১৪টি করে সাংগঠনিক জেলায় ঘুরবেন সংগঠনের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর ১১ ও ২১ মার্চ থেকে পরবর্তী দুটি পর্যায়ের কর্মসূচি চলবে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য নিজে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করবেন। মূলত গ্রাম প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আবাস যোজনা, জল জীবন মিশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হবে।
যদিও রাজ্যে এত গ্ৰামে যাবার মত যুব মোর্চার সেই সংগঠন আছে?- এমন প্রশ্নও উঠছে। সমালোচকদের মতে, দলাদলির জেরে এমনিতে বিজেপির সংগঠনের হাল খারাপ। একের পর এক বিধায়ক ক্রমশ তৃণমূলমুখী হচ্ছেন। আবার কোথাও বিজেপির জনসভা হলে অন্য জেলা থেকে বাসে করে লোক আনতে হয় বলেও দাবি বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে কেবল যুব মোর্চার এই কর্মসূচি কতটা সফল হবে, তা নিয়ে দলেই একাংশ প্রশ্ন তুলেছে।