Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমল কেন? উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী বৃদ্ধির নেপথ্যে কী কারণ?
Madhyamik Examination: পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, কোভিডের কারণে অফলাইন ক্লাসে ছিল প্রতিবন্ধকতা। পরীক্ষা প্রস্তুতিতে খামতি থেকেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে ঘাটতি।
কলকাতা : প্রতিবারই মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকে। এবার উলটপুরাণ, মাধ্যমিকে কম, পরীক্ষার্থী বেশি উচ্চমাধ্য়মিকে। এক ধাক্কায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ লক্ষ। নেপথ্যে কী কারণ? তা নিয়ে চলছে চাপানউতর। উঠে আসছে নানা তথ্য। ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ। এবার পরীক্ষা দেবে ৭ লক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এবার রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসছে ৭ লক্ষ। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানাচ্ছে, এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লক্ষের কিছু বেশি। এই সংখ্যাটা আবার অন্যবারের তুলনায় বেড়েছে। তাহলে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল কেন?
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, কোভিডের কারণে অফলাইন ক্লাসে ছিল প্রতিবন্ধকতা। পরীক্ষা প্রস্তুতিতে খামতি থেকেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে ঘাটতি। তিনি বলেন, “আমরা করোনা পরবর্তী সময় এই পরীক্ষা নিচ্ছি। এটা মাথায় রাখতে হবে। তারফলে অনেক ছাত্রেরই মাঝপথে পড়াশোনায় ঘাটতি দেখা দেওয়ায় পরীক্ষা দিচ্ছে না। ধরে নিতে পারি পরীক্ষা প্রস্তুতিতে রয়েছে খামতি। তাই পরীক্ষায় বসা থেকে বিরত থাকছে। করোনার সময় ক্লাস রুম টিচিংয়ে সমস্যা হয়েছিল। সেটার বোধহয় একটা প্রভাব আমরা কোথাও দেখতে পাচ্ছি।” পর্ষদের আরও ব্যাখ্যা ২০১৭ সালে অ্যাডমিশন রুলে বিভ্রান্তির জন্যও তাঁরা কম পরীক্ষার্থী পাচ্ছেন। তবে এই সমস্যা যে প্রকট হচ্ছে তা মানছেন অনেকেই। যাঁরা পরীক্ষায় বসছেন না তাঁরা সকলেই কী স্কুল ছুট হয়ে গেলেন? সেই প্রশ্নও উঠছে।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের পরিকাঠামো, গ্রামের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাবকে দুষেছেন প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, “অনেক পড়ুয়াই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কাজের তাগিদে বাইরে চলে গিয়েছেন। এমনকী গ্রামের দিকে অনেক স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার কারণে স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে। স্কুলের পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণও গত তিন-চার বছর ধরে ঠিকঠাক হচ্ছে না। এরকম নানা বিষয় রয়েছে, যেগুলি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে করতে হবে।” দ্য পার্ক ইন্সস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, “গত কয়েক বছরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বলা হয় সমাজ গড়ার কারিগর। এখন সত্যিকরেই সেই কারিগরের ভূমিকাটা আমাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে।” এদিকে মাধ্যমিকে কমলেও, উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী বাড়ার কারণ কী? সংসদের যুক্তি, করোনার সময় ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ১০০ শতাংশ পাশ করেছিল। তাদের সিংহভাগই এবার উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছে। অন্য বোর্ডের কিছু পড়ুয়াও রাজ্য বোর্ডে ভর্তি হয়েছে। তাই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।