সোমবার থেকে তিনদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে বিজেপি, কী বার্তা দেন দিলীপ-শিবপ্রকাশরা নজর সেদিকেই
BJP: এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে হাইভোল্টেজ ইস্যু 'ভোট পরবর্তী হিংসা'। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপির তিনদিনের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা যে কেন্দ্রবিন্দু হবে তা ধরেই নেওয়া যায়।
কলকাতা: সোমবার থেকে তিনদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। এই বৈঠকে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শিবপ্রকাশ তো থাকছেনই। আরও একাধিক নাম উঠে আসছে। একেবারে জ়োন ধরে ধরে তিনদিনের বৈঠকে পর্যালোচনা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
বিজেপি সূত্রের জানা গিয়েছে, সংগঠনের পরিকাঠামো, বিভিন্ন কর্মসূচি, ভোটের পর থেকে দলের অগ্রগতি সমস্ত বিষয়েই এই তিনদিন আলোচনা করবে বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার বৈঠকের প্রথমদিন আলোচনা হওয়ার কথা কলকাতা ও তার সংলগ্ন বিভিন্ন জ়োন নিয়ে। নির্বাচনের পর সাংগঠনিক অবস্থা, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় দলের কারা কারা আক্রান্ত, কারা কারা ঘর ছাড়া এই সমস্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিজেপি বার বার ময়দানে নামার কথা বলছে। তা কতটা কার্যকর হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না তা নিয়েও এই বৈঠকে কথা হবে। ২৫ অগস্ট বুধবার সম্ভবত পদাধিকারদের বৈঠক হবে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ও ভোটের পর থেকে বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের কী অবস্থা তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এমনও মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ সমস্ত নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দলের কাছে ব্যাখ্যা করা হবে। একইসঙ্গে উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ যে আসনগুলিতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলি নিয়ে দলের অবস্থানও এই বৈঠকের পর একেবারেই কর্মী সমর্থকদের স্পষ্ট করে দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়েই ময়দানে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তারা বারবার অভিযোগ তুলছে, ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এখনও অবধি বিজেপির বহু নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। অনেকেই ঘরছাড়া। যারা ফিরেছে, তাদেরও সবসময় শাসকদলের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রায় কিছুটা হলেও সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। একই সঙ্গে সিটও গঠন করা হয়েছে। এখনও অবধি যা খবর তাতে আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। চারটি দলে ভাগ হয়ে চারটি জ়োন ধরে তারা তদন্ত করবে বলে খবর। সিবিআইয়ের তদন্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে সিটের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নজরে রাখবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে হাইভোল্টেজ ইস্যু ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপির তিনদিনের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা যে কেন্দ্রবিন্দু হবে তা ধরেই নেওয়া যায়। আরও পড়ুন: ‘মা ও বোনকে অচেতন করার ইনজেকশন দিয়ে আমি ২৬টা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলি!’ তরুণী ডাক্তারের বয়ানে হতবাক পুলিশ