BJP Worker arrested: রাতে অভিযান চালিয়ে শুভেন্দুর খাসতালুক থেকে বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ

BJP Nabanna Abhiyan: গত মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতায়। বহু বিজেপি কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

BJP Worker arrested: রাতে অভিযান চালিয়ে শুভেন্দুর খাসতালুক থেকে বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ
গ্রেফতার আরও এক বিজেপি কর্মী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2022 | 7:29 AM

কলকাতা :  বিজেপির নবান্ন অভিযানের রেশ ধরে এখনও ধকপাকড় চলছে রাজ্যে। পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা থেকেই গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। পুলিশ মামলা রুজু করে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আগেই গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এবার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপি নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার রেশ কাটেনি এখনও। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করার কাজ শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে জেলায় জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেরকমই একটি ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল এগরা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম রাজকুমার মাইতি। অভিযোগ, কলকাতার বাসিন্দা ওই যুবক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি কলকাতার দমদম এলাকার বাসিন্দা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করার পর কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ধৃত যুবক সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে এগরা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৌসুম চক্রবর্তী জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

ঘটনার দিন, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো নেতাদেরও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কেন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি শিবির। আদালতের তরফে রাজ্যের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তবে, রাজ্যের দাবি যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা আছে, তাঁদেরই কেবল আটকে রাখা হয়েছে।