TMC: পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে একগুচ্ছ পুজোর ‘টাস্ক’ তৃণমূল নেতাদের
TMC: পুজোর প্রতিটা দিন নিজের এলাকার সমস্ত পুজো মণ্ডপ ভিজিট করার নির্দেশ এসেছে দলীয় নেতাদের কাছে। একইসঙ্গে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি এই নির্দেশ পেয়েছেন বিধায়ক, সাংসদ, পুর-প্রধানরা।
কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে গরু পাচার, নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের ধরপাকড়ের মুখে পড়েছে একাধিক সরকারি আমলা। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। এদিকে বিগত কয়েক মাস ধরে বারবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে নতুন তৃণমূলের (Trinamool Congress) কথা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতেই নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন শীর্ষনেতারা। এমতাবস্থায় এবার নতুন করে সংগঠনের মাটি শক্ত করতে নেতাদের বড় নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এবারে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর উৎসব। ইউনেস্কোর তরফে বাংলার দুর্গাপুজো বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়াতেই মাসভর উৎসব যাপনের ডাক দিয়েছেন মমতা। সূত্রের খবর, দলের সাংগঠনিক ভীত নতুন করে পোক্ত করতে পুজোর মরসুমকে কাজে লাগাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। পুজোর মরসুমকে জনসংযোগে পুরোপুরি ব্যবহারের নির্দেশ এসে গিয়ছে উপর মহলের তরফে। নির্দেশ পেয়েছেন দলের নেতারা। কী ভাবে চলবে জনসংযোগের কাজ?
সূত্রের খবর, পুজোর প্রতিটা দিন নিজের এলাকার সমস্ত পুজো মণ্ডপ ভিজিট করার নির্দেশ এসেছে দলীয় নেতাদের কাছে। একইসঙ্গে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি এই নির্দেশ পেয়েছেন বিধায়ক, সাংসদ, পুর-প্রধানরা। সমস্ত বিধায়ক-সাংসদ থেকে শুরু করে দলীয় নেতাদের সারাদিন বিভিন্ন ক্লাবে ও পাড়ায় গিয়ে সময় কাটাতে হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলেও দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজের এলাকায় তৈরি করতে হবে নিবিড় জনসংযোগ। কিন্তু কেন এই নির্দেশ? প্রসঙ্গত, বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সে কারণেই এখন থেকে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে সব দল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেক মতে ভোটের ময়দানে বাজিমাত করতে এখন থেকেই প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির। ঠিক সে কারণেই নতুন করে জনসংযোগে জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতাদের।