BJP: বঙ্গ বিজেপির ‘ঠান্ডা লড়াই’ বন্ধ করতে কড়া দাওয়াই বিএল সন্তোষের, দিলেন বড় নির্দেশ
BJP: সূত্রের খবর, ওয়ার্কশপের শেষদিনে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে নিষেধ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কড়া বার্তা দিলেন বিএল সন্তোষ।
কলকাতা: হেস্টিংসে বিজেপির বৈঠকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) অনুপস্থিতি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে চলছে বিস্তর চাপান-উতর। দলের সঙ্গে কি দিলীপের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। এমনকী পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতাদের কোন্দল নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তাতে আরও খানিকটা অস্বস্তি বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির (BJP)। এদিকে গত ২৯ অগস্ট থেকে বৈদিক ভিলেজে বসেছিল বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির। তাঁর শেষদিন ছিল ৩১ অগস্ট, বুধবার। সূত্রের খবর, শেষদিনই কোন্দল মেটাতে শীর্ষ নেতৃত্বদের কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল সর্বভারতীয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষকে। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর।
সূত্রের খবর, ওয়ার্কশপের শেষদিনে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে নিষেধ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ‘কথায় কথায় পরস্পরের নামে নালিশ করতে দিল্লি ছোটা চলবে না’। এই লাইনেই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। সূত্রের খবর, এদিন সাংসদ বিধায়কদের সামনেই বিএল সন্তোষ বলেন, “দল বড় হয়। এত বিধায়ক, এত সাংসদ। তবে কেন নেতাদের মধ্যে বিরোধ মেটাতে দিল্লিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে? এই যে মঞ্চে সুকান্তদা, শুভেন্দুদা বসে আছেন। তাঁদের মধ্যে বিরোধ হলে কেন নিজেরা মেটাবেন না? সব সময় অমিত শাহ, নাড্ডাজীকে কেন হস্তক্ষেপ করতে হবে?” সহজ কথায়, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ঘরোয়া কোন্দল মেটাতে মেটাতে তিতিবিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এ কথাই যেন এদিন ফের একবার পরিষ্কার করে দিলেন বিএল সন্তোষ। এমনই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সে কারণেই এখন থেকে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে ফের নতুন করে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ কর্মসূচির বার্তা দিয়েছেন বি এল সন্তোষ। ভোটের আগে দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে হবে, বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত ঐক্যবব্ধ হয়ে বিজেপির সংগঠনকে বৃদ্ধি করতে হবে। সূত্রের খবর, শেষদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এ কথাই জানিয়েছেন বিএল সন্তোষ। দলের মধ্যে আর কোনও ‘ঠান্ডা লড়াই’ চাইছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই নাম না করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ দিলীপ, সুকান্ত ও শুভেন্দুকেই বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।