Body Recovered from Ultadanga Bridge: উল্টোডাঙা সেতু থেকে উদ্ধার মহিলার ঝুলন্ত দেহ
Ultadanga: মহিলার দেহ কীভাবে ওই দুটি সেতুর মাঝের অংশে এল তা নিয়ে যথেষ্টই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, কেউ ওই মহিলাকে প্রথমে হত্যা করেছে এবং তারপর সেখানে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
কলকাতা: উল্টোডাঙা সেতুর নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার এক মহিলার দেহ। আজ প্রথমে পথ চলতি মানুষরা তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন ওই এলাকায়। ঘটনার জেরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় মানিকতলা থানায়। পরে পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, আজ দুপুর দু’টো নাগাদ পথ চলতি সাধারণ মানুষরা উল্টোডাঙা আরবিডিজে বাইপাসমুখী এবং এয়ারপোর্ট মুখী লেনের ঠিক মাঝখানের অংশ থেকে দুটি পা ঝুলতে দেখেন। তবে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। তবে মহিলার দেহ কীভাবে ওই দুটি সেতুর মাঝের অংশে এল তা নিয়ে যথেষ্টই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, কেউ ওই মহিলাকে প্রথমে হত্যা করেছে এবং তারপর সেখানে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তবে দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পরেই জানা যাবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ।
এদিকে সেতুর যে অংশ থেকে ওই মহিলার দেহ ঝুলতে দেখা গিয়েছে, তার নিচে অনেকটা রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আর তাই থেকেই পথ চলতি মানুষদের একাংশ মনে করছেন, ওই মহিলাকে কেউ খুন করে সেতুর ওই অংশে ঝুলিয়ে দেয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তত্ত্বও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওই এক জন মহিলার দেহ কীভাবে দুর্ঘটনার পর সেতুর ওই অংশে গিয়ে ঝুলে থাকল, তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কসবা থেকে রুবি হয়ে বাইকে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন এক যুবক। সকাল ছ’টা নাগাদ চিংড়িঘাটার কাছে নির্মীয়মান মেট্রো স্টেশনের নিচে সংকীর্ণ রাস্তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, সাগর বাইকে তাঁর নির্দিষ্ট রুট দিয়েই যাচ্ছিলেন। পিছনে দ্রুত গতিতে আসছিল একটি ট্রাক। ট্রাকটি এসে বাইকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ওই যুবকের।