মল্লারপুর লকআপে কিশোরের মৃত্যুতে পুলিসের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে
এদিন বিচারপতি ওই কিশোরের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও জানতে চান। আগামী ২৪ ডিসেম্বর তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হতে পারে। সেদিন পরিবারের সঙ্গে কথাও বলবে আদালত।
কলকাতা: মল্লারপুরে (Mallarpur) লকআপে কিশোর মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই অত্যন্ত কঠোর কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এরইমধ্যে সোমবার এই ঘটনায় পুলিসের গাফিলতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন সরকারি আইনজীবী। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এদিন এজি কিশোর দত্ত জানিয়ে দেন মল্লারপুরে দোষীদের সুরক্ষা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। রিপোর্ট পেশ করে এজি জানান, একজন আধিকারিক থাকা সত্ত্বেও ওই কিশোরের মৃত্যু ঘটে। এজির এই বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত স্পষ্ট, নজরদারিতে পুলিসের কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল সেদিন।
আরও পড়ুন: শাহের পাল্টা বোলপুরে মহামিছিল মমতার
বীরভূমের মল্লারপুরে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্য়ু হয়। তার পরিবার অভিযোগ তোলে, মল্লারপুর থানায় পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন তাদের ছেলে মারা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদীতভাবেই পদক্ষেপ করে হাই কোর্ট। ডিজি ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। রাজ্যের থানাগুলিতে কত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে, কতগুলি ঠিকমতো কাজ করে সে সংক্রান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব জানতে চায় আদালত।
আরও পড়ুন: নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ছারপোকা’ বলে কটাক্ষ পার্থর
পাশাপাশি থানাগুলিতে আদৌ শিশুদের রাখার জন্য যথাযথ পরিবেশ রয়েছে কি না, থাকলে কী অবস্থা সবটা জানতে চায়। স্বরাষ্ট্রসচিব রিপোর্টও দেন। এরপরই এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন রিপোর্ট দিয়ে এজি জানান, একজন অফিসার থাকা সত্ত্বেও কিশোরের মৃত্যু ঘটে। এদিন বিচারপতি ওই কিশোরের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও জানতে চান। আগামী ২৪ ডিসেম্বর তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হতে পারে। সেদিন পরিবারের সঙ্গে কথাও বলবে আদালত।