By-Election: চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

BJP Candidate: আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

By-Election: চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির
উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 9:27 AM

কলকাতা: উপনির্বাচনের (By Election) প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্র গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহে ভোট হবে ৩০ অক্টোবর। এই চার কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল ও বামেরা। এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপিও।

খড়দহে তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী জয় সাহা। দিনহাটায় পদ্ম-প্রতীকে লড়বেন অশোক মণ্ডল। শান্তিপুরের প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। গোসাবায় বিজেপির মুখ পলাশ রানা। দিনহাটায় তৃণমূলের প্রার্থী উদয়ন গুহ, বামেদের মুখ ফরওয়ার্ড ব্লকের আব্দুর রউফ। খড়দহে সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস। শান্তিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী, গোসাবায় সুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে এই দুই কেন্দ্রে বামেদের হয়ে লড়বে সিপিএমের সৌমেন মাহাতো এবং আরএসপির অনিল চন্দ্র মণ্ডল।

একইসঙ্গে তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, অসম, অন্ধ্র প্রদেশেরও একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশের তিন লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে ৩০ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার এই সমস্ত কেন্দ্রেও বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ফলপ্রকাশের আগের দিনই প্রয়াত হন। ফলে ৬ মাসের মেয়াদ ফুরোবে ১ নভেম্বর। অন্যদিকে, ভোটে জয়লাভ করে ১২ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। তাঁদের কেন্দ্র শান্তিপুর ও দিনহাটার মেয়াদ ১১ নভেম্বর শেষ হয়ে যাবে। সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হবে গোসাবার। গত ১৯ জুন তৃণমূলের বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের মৃত্যু হয়। তাই ১৮ ডিসেম্বর মেয়াদ ফুরোবে গোসাবার। এই চার কেন্দ্রেই উপনির্বাচন হচ্ছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করলে আমরা সব সময়ই ভোটের জন্য তৈরি। গণতন্ত্রে ভোটটা তো কাম্য। কিন্তু পুজোর মরসুম তো সে একটা বিষয়। তবে কমিশন চাইলে করতে হবে। আর আমরা নির্বাচনের জন্য যে কোনও দিন, যে কোনও সময়ই প্রস্তুত। আসলে দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো, দীপাবলী সবই তো রয়েছে। তবে এটাও তো ঠিক আসনগুলো শূন্য। সেগুলিতেও তো জনপ্রতিনিধি দরকার।”

অন্যদিকে এই ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য ছিল, “নির্বাচন কমিশন যখন ঘোষণা করেছে, আমরা তো নিশ্চয়ই সেখানে লড়ব। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বরের এই ঝামেলাটা যদি ৩০ অক্টোবরই করত, তা হলে কী সমস্যা হতো? নির্বাচন কমিশন যে শুধুমাত্র একজনকে জেতানোর জন্য সার্কুলারটা জারি করেছিল, এটা নির্বাচন কমিশনের মান, মর্যাদা, দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। যে নির্বাচন কমিশন দাগহীন ছিল, ভবানীপুরের ভোট ঘিরে একটা দাগ লেগে গেল, তা শত ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুলেও যাবে না।”

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে’ পথপ্রদর্শক বাংলাই, তৃণমূল মুখপত্রের উৎসব সংখ্যাতেও ‘কোণ ঠাসা’ কংগ্রেস