RajyaSabha By-Election: ‘হারা মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোই লক্ষ্য, রাজ্যসভায় প্রার্থী দেবে না বিজেপি’, টুইট শুভেন্দুর

By-Election: সোমবারই মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন তৃণমূলের পদপ্রার্থী সুস্মিতা দেব।

RajyaSabha By-Election: 'হারা মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোই লক্ষ্য, রাজ্যসভায় প্রার্থী দেবে না বিজেপি', টুইট শুভেন্দুর
পাকিস্তানের হারে শুভেন্দুর পোস্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 1:20 PM

কলকাতা: একদিকে সোমবার যখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ (By-Election) পদপ্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। অন্যদিকে তখন বিজেপির বিধায়ক-বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে জানালেন, ‘রাজ্যসভায় আমরা কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেব না।’ কারণ হিসাবে, শুভেন্দু জানান তাঁদের পাখির চোখ ভবানীপুরের উপনির্বাচন। যদিও ঘাসফুল শিবিরের দাবি, হার নিশ্চিত জানলে কেউ কি আর প্রার্থী দিতে চায়।

এদিন টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘বিজেপি রাজ্যসভার জন্য এ রাজ্য থেকে কোনও প্রার্থী দেবে না। ভোটের ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত। বরং আমাকের লক্ষ্য এখন একজন হেরে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে আবারও হারানো। জয় মা কালী।’

উত্তর-পূর্ব ভারতে মাটি তৈরি করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে ত্রিপুরা, অসম একের পর এক রাজ্যে নিজেদের জমি তৈরির চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। সেই সুস্মিতাকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মানস ভুঁইয়্যা একুশের বিধানসভা ভোটে জেতার পর রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়েন। সেই আসনেই ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে আগামী ৪ অক্টোবর।

সেই ভোটেই সুস্মিতা দেবের হারানো সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিতে চলেছে তৃণমূল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁর নাম ঘোষণা করেছে দল। সোমবার বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে নথিপত্র সই করে নিজের মনোনয়ন জমা দেন সুস্মিতা। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়ও।

সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর পরই তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছিল, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্যই হল মহিলাদের ক্ষমতায়ণ এবং তাঁদের রাজনীতিতে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। কারণ এর হাত ধরেই আমাদের সমাজ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সুস্মিতা দেব বলেন, “একজন উত্তর পূর্ব ভারতের রাজনীতিককে রাজ্যসভায় জায়গা করে দিয়েছেন মমতাদি। নতুন ইতিহাস হল। আমি মনে করি এর জন্য গোটা উত্তর-পূর্বে একটা আলাদা ইমপ্যাক্ট পড়বে। আমার চেষ্টা থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ত্রিপুরা ও অন্যান্য রাজ্যে আরও শক্তিশালী করা। আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও আমার একটা নতুন সফর শুরু হল। আশা করছি সবার জন্য ভাল হবে।”

যদিও আগেই সুস্মিতা দেব প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “ত্রিপুরায় খেলতে গিয়ে দেখেছে যে পেনাল্টি বক্সের বাইরে বেরোতে পারছে না। তাই দিল্লি পাঠিয়ে দিল। এমনই হবে আরেকজনের। যিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।” সোমবার শুভেন্দুর টুইটেও কটাক্ষের সুর। তাঁর দাবি, রাজ্যসভার ভোটের ফলাফল আগাম জানা বলেই প্রার্থী দেবে না বিজেপি। বরং ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতেই এই মুহূর্তে বেশি আগ্রহ পদ্মশিবিরের।

ভবানীপুরের উপনির্বাচন ও জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে ৩ অক্টোবর। ঠিক তার পরদিনই রাজ্যসভার ভোট। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের রাজ্যসভার আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা এদিন। মোট ৬টি আসনে ভোট হবে।

আরও পড়ুন: Unknown Fever: মালদায় ফের জ্বরের বলি মাত্র ১ মাসের শিশু!