Assembly Bypolls: ধূপগুড়িকে মহকুমা করার আশ্বাস, অভিষেকের নামে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ
Assembly Bypolls: বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে ধূপগুড়িকে আগামী তিন মাসের মধ্যে মহকুমা স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা হয়ে যাবে বলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
কলকাতা: ভোট প্রচারে গিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির তরফে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিইওর (CEO) কাছে এ নিয়ে নালিশ জানিয়েছে পদ্মশিবির। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শনিবার সেই উপভোটের প্রচারেই ধূপগুড়ি গিয়েছিলেন অভিষেক।
বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে ধূপগুড়িকে আগামী তিন মাসের মধ্যে মহকুমা স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা হয়ে যাবে বলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তার ফলে গ্রামীণ হাসপাতাল মহকুমা হাসপাতালে পরিণত হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
অভিষেকের এই বক্তব্যকেই সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অভিষেকের এই বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ জমা দিয়ে অভিযোগ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একই অভিযোগ করা হয়েছে উপভোটের সাধারণ পর্যবেক্ষকের কাছেও। সেই সঙ্গে সাধারণ পর্যবেক্ষকের কাছে দলীয় কর্মী, বুথ সভাপতি আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনায় ধূপগুড়ির আইসি কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হোক, দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি করে চলেছেন এলাকার লোকজন। একুশের বিধানসভা ভোট থেকেই এ নিয়ে নানামহলে বিভিন্ন কথা শোনা গিয়েছিল। এরপর ভোট হল, বিজেপি এই আসনে জয়ী হল। বিধায়ক হলেন বিষ্ণুপদ রায়। তবে ধূপগুড়িকে মহকুমা করা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। উপনির্বাচনের আবহে আবারও সেই কথা উঠে এসেছে তৃণমূলের হাত ধরে।
শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূলের গৌতম দেব বলেন, “বিজেপির যিনি সাংসদ, তিনি ধূপগুড়ি নিয়ে কিছুই কোনওদিন করেননি। যিনি বিধায়ক ছিলেন, প্রয়াত বিষ্ণুপদ রায়, তিনিও কোনওদিন বিধানসভায় একটা শব্দও এই বিষয়ে খরচ করেননি। এখন ওরা নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে ধূপগুড়ির মানুষের দাবির বিরোধিতা করে। আমরা মানুষের কাছে এই বিচারই চাই। যারা ধূপগুড়িকে মহকুমা করার বিরুদ্ধে, ধূপগুড়িকে মহকুমা করার পরিকল্পনার ঘোষণার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যায়, মানুষ যেন ৫ তারিখ তাদের জবাব দেয়।”