Calcutta High Court: ‘এরকম হলে প্রধান বিচারপতির কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেব’, হেভিওয়েট নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে ভর্ৎসিত সরকারি আইনজীবী
Calcutta High Court: এদিনের শুনানিতে বিচারপতির রাজা শেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, "এই ধরনের তোলাবাজি মেনে নেওয়া যায় না। যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন! এর পর হলে জনস্বার্থের কারণে প্রধান বিচারপতি কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেব।"
কলকাতা: ভাঙড়ে নিজের জমিতে নির্মাণ করতে গিয়ে তোলাবাজির শিকার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল এলাকার প্রভাবশালী এক তৃণমূল নেতার। সরকারি আইনজীবীর অনুরোধে এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নাম বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এদিনের মামলার শুনানিতে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা।
প্রসঙ্গত, পোলেরহাট থানা এলাকায় নিজের জমিতেই বাড়ি বানাচ্ছিলেন মামলাকারী। অভিযোগ, আরিফ নামে এক ব্যক্তি কাজ চালু রাখার জন্য এক প্রভাবশালীর নাম করে তাঁর কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্ল্যান অনুমোদন না করিয়ে নির্মাণ হচ্ছে দাবি করে ব্যাঁওতা ১ পঞ্চায়েত থেকে নোটিস দেওয়া হয়। তারপর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই জমির মালিক।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতির রাজা শেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, “এই ধরনের তোলাবাজি মেনে নেওয়া যায় না। যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন! এর পর হলে জনস্বার্থের কারণে প্রধান বিচারপতি কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেব।” ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন তিনি।
অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত ও এলাকার প্রভাব শালী ব্যক্তি। পঞ্চায়েত প্রধান, আরিফ বিরুদ্ধে FIR করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, “আরিফকে যে প্রভাবশালী আট লক্ষ টাকা তোলা চাইতে পাঠিয়েছিল, তদন্ত করে তার নামেও FIR করতে হবে।” পোলেরহাট থানাকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। প্রসঙ্গত, ওই প্রভাবশালী যার নির্দেশে আরিফ কাজ করেছিল তার নাম বাদ দিতে অনুরোধ করা হয়।
এদিন হাইকোর্ট আরও নির্দেশে দিয়েছে, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা লাগোয়া পোলেরহাট থানা এলাকার ওই জমিতে নির্মাণ যাতে কোনওভাবে ব্যহত না হয় তার নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকেই। আগামী অন্তত সাতদিন এলাকায় পুলিশ পোস্টিং রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।