Madhyamik: ‘কারও পরীক্ষা বাতিল করে আমরা আনন্দ পাই না’, ২ ছাত্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ পর্ষদের
Madhyamik Exam: পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দু'জনকে শনাক্ত করে ফেলে পর্ষদ। সেই দু'জনের এবছরের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই দু'জনের মধ্যে একজন নঘরিয়া হাইস্কুলেই ছাত্র। অন্যজন চামাগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র।
কলকাতা: মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনেই প্রশ্নপত্র ঘিরে বিপত্তি। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকজনের ফোনে পৌঁছে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। তড়িঘড়ি পদক্ষেপও করা হয় পর্ষদের তরফে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দু’জনকে শনাক্ত করে ফেলে পর্ষদ। সেই দু’জনের এবছরের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই দু’জনের মধ্যে একজন নঘরিয়া হাইস্কুলেই ছাত্র। অন্যজন চামাগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র। বিষয়টি জানাজানি হতেই মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা ধরে ফেলে পর্ষদ।
মধ্য শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, এই দু’জন ছাত্রই প্রশ্ন বের করেছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই দু’জনের মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হল। এই দু’জন আর এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবে না। একইসঙ্গে রামানুজবাবু পরীক্ষার্থীদের এই ধরনের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছেন। পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘পরীক্ষা বাতিল করে আমরা আনন্দ পাই না। আমরা তদন্তকারী সংস্থা নই। দয়া করে আর এমন কেউ করবেন না।’
পাশাপাশি যে শিক্ষকরা পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের আরও বেশি কড়া নজরদারি চালানোরও পরামর্শ দেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘শিক্ষকরা প্রফেশনাল নিরাপত্তার দায়িত্বে নন। তাঁদের হয়ে সাফাই গাইছি না। কিন্তু ১৬ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের বডি সার্চ ওইভাবে করা সম্ভব নয়। আমি শিক্ষকদের আরও কড়া নজরদারির আবেদন করব।’