Calcutta High Court: ‘বাস ভাড়া নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন হয়নি’, পরিবহণ সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার অনুমতি
Bus and Minibus Fare: মামলাকারীর অভিযোগ, আদালত এর আগে যে নির্দেশ দিয়েছিল দফতরকে, তা পরিবহণ সচিব ঠিকঠাক কার্যকর করেননি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই আদালত অবমাননার অভিযোগ। আগামী সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা: রাজ্য পরিবহণ দফতরের (Transport Department) সচিব সৌমিত্র মোহনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক মামলাকারী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবহণ দফতরের সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার (Contempt of Court) মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার বেঞ্চ এই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, আদালত এর আগে যে নির্দেশ দিয়েছিল দফতরকে, তা পরিবহণ সচিব ঠিকঠাক কার্যকর করেননি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই আদালত অবমাননার অভিযোগ। আগামী সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাস ভাড়া নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের
রাজ্যে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসগুলির ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলে আসছে। পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কোভিড পরবর্তী সময়ে বাসভাড়া নিয়ে ঝঞ্ঝাট আরও বেড়েছিল। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি অতীতে একাধিকবার দাবি করে এসেছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া না বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। এদিকে রাজ্য সরকারও আবার বাস ভাড়া বাড়াতে দিতে নারাজ। এমন অবস্থায় একাধিকবার বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিল রাজ্য। কিন্তু সমস্যার সমাধান সেই অর্থে হয়নি।
ভাড়া-জটিলতা গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত
একাধিক দফা বৈঠকের পরও বাস ভাড়া নিয়ে জট না কাটায়, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে সেই সময় হলফনামা জমা দিয়েছিল রাজ্য। সেই হলফনামায় রাজ্যের বক্তব্য ছিল, ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্যের তরফে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। রাজ্যের বক্তব্য অনুযায়ী, সেটিই ছিল বাস ও মিনিবাসের সর্বশেষ প্রকাশিত ভাড়া তালিকা। অর্থাৎ, সেটি ছিল কোভিড কালের আগে।
কী নির্দেশ ছিল হাইকোর্টের?
সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকার যে ভাড়া স্থির করে দিয়েছে, সেই ভাড়াই নিতে হবে। অর্থাৎ, সেই অনুযায়ী ২০১৮ সালের তালিকাই কার্যকর হওয়ার কথা। এর পাশাপাশি বেসরকারি বাস ও মিনিবাসগুলিতে ভাড়ার তালিকাও সাঁটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিষয়ে যাত্রীদের কোনও অভিযোগ জানানোর থাকলে, সেই অভিযোগ জানানোর জন্য একটি টোল ফ্রি নম্বরও বাসগুলির ভিতরে ও বাইরে লিখে রাখার কথা বলা হয়েছিল। এই নির্দেশটি দেওয়া হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।
হাইকোর্টে কী অভিযোগ মামলাকারীর?
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশের পর দুই বছর পেরিয়ে গিয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ ঠিকঠাক পালন করা হয়নি। শহর কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাসগুলিতে ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান নেই বলে অভিযোগ তাঁর। সঙ্গে বাসভাড়ার তালিকার তোয়াক্কা না করেই যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। মামলাকারীর বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি পরিবহণ দফতরের সচিবকে।