Calcutta High Court: অভিষেকের মিম করায় গ্রেফতার, অতি সক্রিয়তায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

Calcutta High Court: অভিষেকের মিম সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, " ধরে নিতাম, তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ঘটনা ঘটে, আর অভিযুক্তকে হাতের কাছে পেয়ে গ্রেফতার করে, তবু একটা যুক্তি থাকে।"

Calcutta High Court: অভিষেকের মিম করায় গ্রেফতার, অতি সক্রিয়তায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ
কলকাতা হাইকোর্ট। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2023 | 1:59 PM

কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিম করায় এক যুবকের গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। বিচারপতির প্রশ্ন, কী করে নোটিস না দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ? বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন,  অভিযুক্তের অপরাধটা কী? কোন উৎসাহে এত তৎপরতা পুলিশের?

অভিষেকের মিম সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ” ধরে নিতাম, তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ঘটনা ঘটে, আর অভিযুক্তকে হাতের কাছে পেয়ে গ্রেফতার করে, তবু একটা যুক্তি থাকে।” বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,  বরানগর থেকে পুলিশ লালগোলা গিয়ে তুলে আনছে একজনকে এই অপরাধে!

সওয়াল জবারের সময়ে রাজ্যের আইনজীবী আমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যা ঘটেছে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। এক ঘণ্টার মধ্যে ল্যাপটপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশকে সময় দিন।” পুজোর ছুটির পর যাতে এই মামলার শুনানি হয়, তার আবেদন জানান।

কিন্তু রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি আরও বিরক্ত হন । বিচারপতি বলেন , “ল্যাপটপ ফেরত দেওয়া পরের কথা। আগে তো গ্রেফতার কেন সেটার উত্তর দিতে হবে।”  ল্যাপটপ কেন নেওয়া হয়েছে, সেটাও পুলিশকে জানাতে বলেন বিচারপতি। বুধবারই এই মামলার শুনানি। বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য,  “কোনও সময় দেওয়ার সুযোগ নেই।” বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, বরানগর থানার ওসি, অভিযোগ রেকর্ডিং অফিসার ও তদন্তকারী অফিসারকে মামলায় যুক্ত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেফতার করে কলকাতার বরানগর থানার পুলিশ। বরানগরের এক ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্র কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। কেন ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কেন তাঁর ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা জানতে চায় আদালত।